শত বছরের পুরানো বাড়ি ভাঙ্গলেন প্রশাসন , প্রতিবাদে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৯৬২ সালের আরওয়ার ভূক্ত জমি থেকে ১৯টি পরিবারের ঘর ও সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
এ ঘটনায় উপজেলার নলুয়া আড়ালিয়া পাড়া গ্রামে বাড়ি ভাঙ্গার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আসছে গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার দিনভর পুলিশ নিয়ে শ্রমিক দিয়ে ১৯টি ঘর কয়েকটি সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
বহুরিয়া চতলবাইদ মৌজায়ার আড়ালিয়া পাড়ায় শতবছর ধরে বাড়ি নির্মাণ করে বসতী গড়েছে ১০-১২টি পরিবার। সেখানে তাদের বাপ-দাদার কবর দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমি গুলো কেনা-বেচা ও বাড়ি ঘর নির্মান করে আসছে তারা। সম্প্রতি তারা তাদের পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর নির্মান করে।
এ দিকে ২০০৩ সালে ক্রয় করা সেই জমিতে নতুন বাসা বাড়ি নির্মান করে কয়েকটি পরিবার। বাড়ি নির্মানের সংবাদ শুনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক দিয়ে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিয়ে আসে। এতে প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ভূক্তভোগী পরিবাররা জানায়।
শতবছরের বসতী ঘড়ে তুলা দেলুয়ার হোসেন বলেন, এই জমিতে আমার বাবা ও দাদাকে দাফন করা হয়েছে। ২০০৫ সালের আগে এই জমির খাজনা দিয়েছি। এখনো দিতে ইচ্ছুক কিন্তু সরকার নিচ্ছে না। আমার পুরাতন রান্না ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন করে একটি ঘর দিলে উপজেল এ্যাসিলেন্ড ম্যাডাম তার লোকজন দিয়ে সেই ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। আমি এমনেই গরিব মানুষ কৃষি কাজ করে চলি। এখন পথের কাঙ্গাল হয়ে গেলাম।
এদিকে স্বপন মিয়া বলেন, ২০০৩ সালে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মান করেছি। সেই বাড়ির বাউন্ডারি ভেঙ্গে পড়ায় নতুন করে বাউন্ডারি দিয়েছি। সেই বাউন্ডারির টিন ও খুটি ভেঙ্গে দিয়েছে এ্যাসিলেন্ড।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, ১৯ টি ঘর তিনটি সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ওনারা যদি আমাদের নোটিশ করতেন কিংবা সময় দিতেন তাহলে আমরাই সব কিছু খোলে নিতাম এত ক্ষয় ক্ষতি হত না। আমরা এই ক্ষতি পূরন চাই সরকারের কাছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী বলেন, শতবছরের কোন পুরাতন বাড়ি ভাঙ্গা হয় নাই। খাস জমিতে নতুন করে বাড়ি ঘর তুলা হচ্ছিল সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।