পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার ‘প্রতিশোধ’ নেবে ইরান


ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফকিরজাদেহকে হত্যার ‘প্রতিশোধ’ নেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে ইরান। গতকাল শুক্রবার তেহরানের কাছে এক চোরাগোপ্তা হামলায় মহসেন নিহত হন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দামাভান্দ এলাকার আবজার্দে ইরানি এ পরমাণু বিজ্ঞানীর গাড়ি লক্ষ্য করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলার পর আহত মহসেনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি।
২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রকল্প থেকে সরে আসার চুক্তির আগে পর্যন্ত এই বিজ্ঞানীই ইরানের সামরিক পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বলে দাবি করে আসছিল ইসরায়েল। এক সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ওই বিজ্ঞানীর নাম করে বলেছিলেন, এই নাম স্মরণে রেখো।
এক দশক আগে একই কায়দায় একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলের হাত আছে বলে ধারণা করা হয়। তবে মহসেন ফকিরজাদেহ হত্যার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল।
এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বজ্রের মতো আঘাত হানার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেগান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলের দিকে আঙুল তুলে ‘রাষ্ট্রীয় এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা’ জানাতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফকিরজাদেহ ইরানের তথাকথিত আমাদ (আশা) কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, এটি একটি সামরিক কর্মসূচি, এর আড়ালে ইরান মূলত পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকেই আমাদ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংস্থার পরিদর্শকরা বর্তমানে ইরানের পরমাণু গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি করে। তেহরান অবশ্য সবসময়ই তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ বলেই দাবি করে আসছে।