শফিকুলের ১২ বিয়ে,তিন স্ত্রীর বিচার দাবি

স্টার্ফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৭৩৯

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিভিন্ন প্রতারণা করে শফিকুল ইসলাম নামের এক মাইক্রোবাস চালকের বিরুদ্ধে ১২টি বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। 

গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর)ওই প্রতারক স্বামীর বিচার ও স্ত্রী অধিকার চেয়ে বর্তমান ৫ স্ত্রীর মধ্যে তিন স্ত্রী সখীপুর থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রেসক্লাব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে প্রতারক স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে মারধর, বিভিন্ন কৌশলে স্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ, মুখ খুললে হত্যার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। 

জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতীমা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক শফিকুল ইসলাম (৪০)। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলার ১নং কুড়ালিয়া ইউনিয়ন কাজী অফিসে বিয়ে করেন ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আঃ গফুরের মেয়ে বিউটি আক্তারকে। এর ৮ মাস পর ২০১৯ সালের ৫ জুলাই দুইলাখ টাকা দেনমোহরে প্রতারক শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৫,৬,৭ ও ৯নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে গাজীপুরের ভাওরাইদ গ্রামের রফিজ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা আক্তারকে বিয়ে করেন। আবার ৫ মাস পর ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই প্রতারক তিন লাখ টাকা দেনমোহরে ও টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে বিয়ে করেন সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তারকে। 

এছাড়াও  প্রতারক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সুমি, আখি, খালেদা, শিল্পী, কহিনুর, ফেরদৌসি এবং শরীফা আক্তারসহ আরো একাধিক বিয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।   

অভিযোগকারী বিউটি ,খোদেজা ও আকলিমা আক্তার বলেন, শফিকুল প্রতারণা করে একে একে ১২টি বিয়ে করেছে। বর্তমানে আমরা তিনজনসহ তার ৫জন স্ত্রী রয়েছে। তারা প্রতারক শফিকুলকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একাধিক বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন।  

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান। 

সখীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখার সভাপতি জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।