নাগরপুরে হঠাৎ হেলে পড়ল শতবর্ষী বটগাছটি
ঝড়-ঝাপটা কিছুই ছিল না, তবুও হঠাৎ হেলে পড়ছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর বাজারের শতবর্ষী বটগাছটি। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
(২৯ আগষ্ট) শনিবার দিবাগত রাতে গাছটি এমনিতেই উপড়ে পড়ে। সে সময় লোকসমাগম ছিল না বলেই রক্ষা, এমনটি জানালেন প্রত্যক্ষ কয়েকজন। শুধু বাজারের একটি ঘর ভেঙে গেছে। যে গাছটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল বাজার-হাট, সেই গাছ হঠাৎ হেলে পড়ায় অনেকেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। কষ্টও পেয়েছেন অনেকেই।
এদিকে কয়েক জন অভিযোগ করেন, বট গাছের শিকর কেটে গোপাল ঘোষের মিষ্টির দোকান ধীরে ধীরে প্রসারিত করতে থাকলে বট গাছটি হেলে পড়ে। পাশে দোকানদারও সুযোগটি গ্রহণ করেন। এই কারণে শনিবার দিবাগত রাতে গাছটি হেলে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মালিক আবু ও হাজী উজ্জল বলেন, ব্যবসায়ী মুসা তার দোকান ঘর মেরামত করার সময় বট গাছের শিকর কেটে ফেলায় গাছটি হেলে পড়েছে।
সুব্রত ঘোষ মনে কষ্ট নিয়ে বলেন, এই বটগাছের বয়স একশ বছরের বেশি হবে। এক সময় গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। গরমে ছায়াঘেরা পরিবেশের জন্য এই বটগাছের নিচে বসে অনেকেই নির্মল ও প্রশান্তির বাতাস খেয়েছেন। আর এই বটগাছকে ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে নাগরপুর হাট। প্রায় ২০টি দোকানের ছায়া দিয়েছে এই বট গাছটি। তিনি আরো বলেন বট গাছ দাড়িয়ে থাকে তার শিকরের (ঝট) উপড় এগুলো না থাকায় বট গাছটি উপড় পড়ে।
ব্যবসায়ী মোসারব হোসেন মুসা বলেন, শতবর্ষী এই বটগাছ হঠাৎ ভেঙে পড়ায় মনটা খারাপ হয়ে গেছে। যদি ঝড়ের তান্ডবে কিছু হতো, এতটা খারাপ লাগতো না। এই গাছের নিচে শৈশব ও কৈশর কেটেছে। গাছটি এভাবে উপড়ে পড়বে ভাবতে পাড়িনি। তবুও শুকরিয়া আদায় করছি কোন দুর্ঘটনা না ঘটার জন্য। তিনি আরো বলেন আমার কারণে যদি বট গাছটি হেলে পড়ে আপনরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বট গাছটি উপড়ে পড়েছে বলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কে অব্যহত করি এবং তার নিদের্শ মত মানুষ জনের চলাচলের জন্য গাছের ডালপালা কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, গত রাতে গাছটি উপড়ে পড়েছে বলে সংবাদ পেয়েছি। স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক কে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে মানুষের চলাচলের যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
