শশুর বাড়ীতে বেড়াতে এসে জামাইয়ের মৃত্যু
শশুর বাড়ী মধুর হাড়ি। এই প্রবাদ ব্যাকটি সবার পরিচিত। কিন্তু সেই শশুর বাড়ীতে এসেই চিরোনিদ্রায় সহিত হলেন জামাতা রাজীব সিকদার(২২)।
জানা যায়, বরিশাল জেলার কেউখলি গ্রামের বসির কন্ডাক্টর এর ছেলে এর সাথে রংপুর জেলার ভেলু গ্রামের রাজ্জাক আলীর মেয়ে রিতা (১৯) এর সাথে বিবাহ বান্ধনে আবদ্ধ হয় প্রায় মাস কয়েক আগে। রাজীব ঈদের পরে দিন তার শশুর বাড়ীতে চলে আসে। কিন্তুর ঈদের আগের দিন রিতা, আর নন্দন হামিদা (১২) ও জান্নাতুল (৯)কে সংঙ্গে করে বাবার বাসায় আসে। দাওয়াত খেতে এসে মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১২:০০ ঘটিকায় বাড়ীর ছাদ বেয়ে বাড়ীর ভীতরে প্রবেশ করে জামাতা রাজীব ও রিতার ঘড়ে গিয়ে রাজীবকে ছুরির আঘাত করে কে বা কাহারা।
অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রমেক) এ ভর্তি করা হয়। আজ বৃহপ্রতিবার আনুমানিক সকাল ৮.০০ ঘটিকায় রমেক এর দায়ীত্বরত ডাক্তার রাজীবকে মৃত্য ঘোষণা করে ।
মৃত রাজীবের বোন হামিদা (১২) জানা যে, তার ভাবী (রিতা) এর প্রথম স্বামী সর্দারপাড়া গ্রামের জাহেরুল নাকি আমার ভাইকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে। তিনি আরো বলেন, জাহেরুল নাকি ফোন করে তার ভাবীকে বার বার নানান রকম হুমকি দিত। বলতো ভাবী নাকি ১০টা বাচ্চার মা হলেও তাকে জোর করে নিয়ে যাবে বলে ইত্যাদি হুমকি দিয়ে আসত।
তবে রিতার সাথে কথা বলতে চাইলেও কথা বলা যায়নি। রিতার মুটোফনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তার ফোন রিচিপ করে কথা বলে রিতার চাচা আনারুল (২৬) ফোন ধরে বলে, রিতা একটু দূরে আছে। তার কাছ থেকে খুনের সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন রিতার আগের জামাতা জাহাঙ্গীর ( জাহেরুল) নাকি তার বর্তমান জামাতা রাজীবকে ছুড়ির আঘাত করে। তার পর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন এর কারণে রাজীবকে রংপুর কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তবে খুনিকে চিনতে পেরেছেন রিতা বলে আনারুলের দাবী করে বলেন, খুনি আর কেউ নয় জাহাঙ্গীর ( জাহেরুল)।
তবে রিতার ভাই হৃদয় ও রাজীব এর বোন জান্নাতুল জানান, রিতার আর রাজীবের মধ্যে ঘটনার দিন ঝগড়া হয়ে ছিল। সেই ঝগড়ার জের ধরেই রাতে রিতা আর রাজীব না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
জান্নাতুল আরো জানান, আমার মধ্য রাতে বাথরুম চাপদিলে আমি আর আমার বোন হামিদা সহ বাথরুমে যাই সেই সময় নেভিবুলু কালারের টি- শার্ট আর কালো প্যান্ট পরা একটা লোক রুম থেকে বের হয়ে যাওয়া দেখি। ঘড়ে গিয়ে দেখি আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় আর ভাবী চিৎকার করছে।
জাহেরুল এর মা জানান, জাহেরুল এর রিতার সাথে বিয়ের হবার আগে থেকেই সে ঢাকায় থাকে। মাঝে মাঝে এলাকায় আসত। তাদরে মাঝে বিচ্ছিন হবার পরেও জাহেরুল রিতাকে ফোন করত বলে জানান জাহেরুল এর মা। পরে জাহেরুলকে ফোন দিতে মানা করলে সে আর ফোন করে না। তবে জাহেরুল এর মা দাবী করেন, জাহেরুল ঈদের ছুটিতে বাসায় আসে এবং সে গত পরশুদিন ( সোমবার) আসরের নামাজের পর তার কর্মস্থল ঢাকাতে চলে যান। তবে আমার জাহেরুলকে ফাসানোর চেষ্ঠা করছে বলে জোরালো ভাবে দাবী জাহেরুল এর মার।
তবে এখন পযর্ন্ত কোন প্রকার মামলা হয়নী। মামলা করা হবে কোথয়ালী সদর থানায় বলে জানান রিতার চাচা আনারুল।
