ঝিনাইদহে একদিনেই সর্বচ্চো আক্রান্ত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০ | ১৫১

ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর সিটি কলেজপাড়ার রাশেদুর রহমানের স্ত্রী সাহিদা রহমান (৬৮), কালীগঞ্জ শহরের থানাপাড়ার নুর সোবাহানের ছেলে সার ব্যবসায়ী খালিদ খান স্বপন ও একই উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের নারায়ন চন্দ্র মল্লিক।

তার বড় ভাই বিমল মল্লিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত রোববার মৃত্যুবরণ করেন। এই নিয়ে ঝিনাইদহে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১৮। এদিকে ঝিনাইদহের আনাচে কানাচে করোনা ভাইরাস ভয়ংকর দানবরুপে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বোচ্চ ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭৪৬ জন। শহর এবং গ্রামের মানুষও সমান ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যলয়ের মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ১৫৩ টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৬৪ টি পজেটিভ।

আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ৪ জন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ২ জন এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ১ জন রয়েছে। তিনি বলেন করোনায় মারা গেছেন সাহিদা খাতুন। গত ১৭ জুন কালীগঞ্জের সার ব্যাসায়ী খালিদ স্বপনের করোনা পজিটিভ আসায় তিনি ঢাকার সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।

তবে ১৪তম দিনে খালিদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে তার ভাতিজা বনি গনমাধ্যমকে জানান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নারায়ন চন্দ্র মল্লিক নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বড় ভাই বিমল মল্লিক করোনায় মারা যাওয়ার ৩ দিন পর ছোট ভাই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন। চিকিৎসকদের আশংকা নারায়ন চন্দ্র মল্লিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতে পারে।

এদিকে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান, তারা সকালে আরাপপুর সিটি কলেজপাড়ার রাশেদুর রহমানের স্ত্রী সাহিদা রহমানের মৃত দেহ দাফন করেছেন।

সকালে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের অনুমতিক্রমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো: আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত লাশ দাফন কমিটি ঝিনাইদহ পৌর গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এই নিয়ে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ৩২ জন মারা গেলেও তারা এ পর্যন্ত ৩০ টি লাশ দাফন করলো।