জেকেজি-কাণ্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০ | ৪২২

জেকেজি হেলথকেয়ারের কভিড পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। এর মধ্যে ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেটি গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা চলছে।

ডিবি জানায়, জেকেজি হেলথকেয়ারের কভিড পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে কিছু অনিয়মের তথ্য প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল চৌধুরী, তার স্ত্রী ড. সাবরিনা আরিফসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য এসেছে। এসব তথ্য যাচাই করতে বেলা ৪টার দিকে ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যান। সেখানে অধিদপ্তরের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম  জানান, জেকেজি হেলথকেয়ারকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিলো। পরে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের ডাকা হলে ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট টিম সেখানে যান। প্রয়োজনী তথ্য সংগ্রহের পর অধিদপ্তরের দুই কড়মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, কভিডের নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজির হটলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেকে জেকেজির বুথে এসে নমুনা দিতেন। বিদেশি নাগরিকদের জন্য নেয়া হতো ১০০ ডলার (প্রায় ৮ হাজার ৫০০ টাকা)। বাংলাদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। যদিও দাতব্যপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ভিত্তিতে বিনামূল্যে তাদের স্যাম্পল কালেকশন করার কথা ছিল। এসব ঘটনার পর ২৪ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের নমুনা সংগ্রহের যে অনুমোদন ছিল তা বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।