একদিনে সর্বোচ্চ ৪০০৮ জন শনাক্ত, মৃত্যু ৪৩


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩০৫ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে ৪ হাজার আট জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে গতকাল ১৬ জুন সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল তিন হাজার ৮৬২ জন। আজকের হিসাবে এ নিয়ে সর্বমোট ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হল।
আজ বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
দেশে মোট ৬১টি পিসিআর ল্যাবের মধ্যে মোট ৫৯টি ল্যাব থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৮ হাজার ৯২২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫২৭টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪টিতে।
দেশে নতুন করে আরো এক হাজার ৯২৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এটি আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত একটি আনুমানিক সুস্থতার সংখ্যা বলেও উল্লেখ করেন নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এছাড়াও গত ২৪ শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে, যাদের একজনের বয়স দশের নিচে এবং ১১ থেকে ২০ বছরের একজন। এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের নয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার রয়েছেন দুজন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১ জন, চট্টগ্রামের ১২ জন, রাজশাহী চারজন, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন করে, সিলেট এবং রংপুর বিভাগে একজন করে রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন, বাসায় থেকে মারা গেছেন ১৫ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভয়াবহ ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে খুব দ্রুত।