টাঙ্গাইলে একদিনে রেকর্ড ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত


টাঙ্গাইলে একদিনেই সর্বোচ্চ ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৩ জনে।
এছাড়াও গত (১২ মে) ঘাটাইল উপজেলার মৃত এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ এসেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় সাংবাদিকসহ পাঁচজন, বাসাইলে একজন, ধনবাড়ীতে একজন, গোপালপুরে দুইজন, ঘাটাইলে দুইজন, মধুপুরে একজন ও কালিহাতীতে একজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১২৭ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয় তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭৩ জনে। এছাড়াও ঘাটাইলে এক মৃত ব্যক্তি দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। এছাড়াও এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন। টাঙ্গাইল থেকে এ পর্যন্ত ৩১০১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জনের। আর নেগেটিভ ২৯০১ জন। ১২৭ জনের নমুনা এখন আসেনি।
এ নিয়ে ঘাটাইল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খান বলেন, গত ১১ মে ঘাটাইল উপজেলা নরজানা উত্তরপাড়া নামক গ্রামের বাড়িতে এসে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আব্দুল মান্নান (৪৫)। এ সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক তার নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ব্যক্তি পাঠানো ওই নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন তারা। এ কারণে তিন অথবা চারদিন পর মৃত ব্যক্তির বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তাৎক্ষনিক পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল আসেনা বলেই তিন অথবা চারদিন পর বাড়ির অন্যান্যদের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৩ জন আক্রান্তরোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছয় জন বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে সাত জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা অনেকটা ভালো।
এছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা করোনা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায় হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছে ১৪৪৫ জন। আইসোলেশনে আছেন আটজন। গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে ১২৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৩১৭ জন। ছাড়াও ঠিকানামতো বিদেশ ফেরত ২০৭৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ।