সরকারী নিষেধাজ্ঞা শেষে শংকা নিয়ে মধ্যরাতে নদীতে নামবে জেলেরা


ভোলায় ইলিশের অভয়াশ্রমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে পড়বেন ভোলার জেলেরা। ইতোমধ্যেই তারা জাল ও নৌকা প্রস্তুত করছেন। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে নদীতে ইলিশ শিকারে যেতে পারবে কিনা সেই শংকাও বিরাজ করছে জেলেদের মধ্যে।
এদিকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ কিভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগকারী মৎস্য আড়তদাররা।
তবে নদীতে মাছ শিকারের কোন সরকারি বাঁধা নেই ও উৎপাদিত ইলিশ পরিবহন শিথিলযোগ্য বলে জানান মৎস্য বিভাগ।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনায় ইলিশের অভায়াশ্রম ঘোষনা করে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারী করে সরকার। তবে এই সময় জেলেদের ৪০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হয়।
ইলিশ জেলে কামরুল মাঝি, হানিফ মাঝি, আজাদ মাঝি, কামাল মাঝি, সজল মাঝি, ইব্রাহীম মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি ও জহির মাঝি সহ অর্ধশতাধিক জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারনে গত দুই মাস মাছ শিকারের যেতে পারেনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাইছি। সরকারি সাহায্য সবার কপালে জোটেনি। হুনছি করোনার কারনে মাছ ধরতে দিবো না। মাছ না ধরতে পারলে না খাইয়া মারা যামু।
মৎস্য আড়তদাররা জানান, করোনার কারনে লঞ্চ বন্ধ । জেলেদের ইলিশ কিভাবে ঢাকা পাঠামু বোঝতে পারছিনা। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। মাছ না পাঠাতে পারলে লোকসানে পড়ে যাবো।
এই ব্যাপারে ভোলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা নদীতে ইলিশ শিকার করতে পারবে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নেই। পরিবহন করতে পারবে নিজ উদ্যোগে।
তিনি আরো বলেন, মাছের অভিযান আমাদের সফল হয়েছে বলা যায়, আমরা মনে করছি, ইলিশের উৎপাদন যে লক্ষ্যমাত্র ছিলো তা অর্জিত হবে। কারণ, ৮০ ভাগ মাছ রক্ষা হয়েছে। এ বছর জেলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
ইলিশের অভয়াশ্রমে ভোলার মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়ার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মার্চ-এপ্রিল দুই মাছ ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো।