এলেঙ্গা পৌরসভা ও কলেজের রাস্তা বেহাল মহাসড়ক অবরোধের হুমকি

কালিহাতী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট ২০১৭ | ৫৫৩

কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা ও কলেজের রাস্তা বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে ভ্যান, রিকশা, অটো এমনকি সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ব্যাহত হওয়ায় মহাসড়ক অবরোধের হুমকি দিয়েছে। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌরসভা, কলেজ রোড, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রথমিক বিদ্যালয় ও বাজারের রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

এলেঙ্গা পৌরসভার প্রায় প্রত্যেকটি রাস্তা এক সময় পিচঢালা ছিল। কিন্তু পৌরসভার মূল সড়ক, কলেজ রোড থেকে শুরু করে পৌরসভার প্রায় রাস্তারই এখন বেহাল অবস্থা।

চরাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রায় ৬০-৭০টি গ্রামের জনসাধারণের প্রতিনিয়ত যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন এ রাস্তা। এলেঙ্গা-ভূঞাপুর পুরাতন সড়ক মেরামত কাজের উদ্বোধনের এক বছরেও শুরু হয়নি মূল সড়কের কাজ।

সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক বছর যাবত্ এলেঙ্গা-ভূঞাপুর পুরাতন সড়ক চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে চলাচলকারী পথচারী, যাত্রীবাহী এবং মালবাহী যানবাহন এবং লোকজনের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাস্তাটি।

দেখে মনে হয় যেনো একটি পুকুর। পুরো সড়কটিই খানা-খন্দে ভরা। শামসুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল কবীর জানান, এলেঙ্গা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মাঝখানে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী রাস্তায় নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল আমি তাদের দমিয়ে রেখেছি

। তবে শিক্ষার্থীরা রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় শিক্ষাঙ্গনে যাতায়াত করতে না পেরে আমাকে উপেক্ষা করেই মহাসড়ক অবরোধের হুমকি দিয়ে আসছে।

এলেঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল হক ড্রেন নির্মাণে ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানিয়েছি। কাজ করা তাদের দায়িত্ব।

এলেঙ্গা-ভূঞাপুর পুরাতন সড়কের মেরামত কাজের ঠিকাদার শামছুল আলম খান জানান, বিভিন্ন কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।

তারপরও আশা করছি নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ হবে

। এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র শাফী খান জানান, ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক সময় গাফিলতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা আর নেই। আশাকরি যথাসময়েই কাজ সম্পন্ন হবে। আমার আন্তরিকতা বা তদারকির ঘাটতি নেই।