গাজীপুরে মফিজ উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ


নামমাত্র ডেভিট ভাউচার দেখিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর সদরের চপুলিয়ার মফিজ উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে।
এমনকি এই আত্নসাতকৃত টাকার ক্ষতিপুরনের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম দেওয়ান ও অফিস সহকারী শাহাদৎ হোসেন সোহাগ এর যোগসাজছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৩৩% বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে, এমন অভিযোগ রয়েছে।
ডেভিট ভাউচারের উল্লেখিত টাকার পরিমান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি গেট নির্মাণের জন্য দুইটি পৃথক ওয়ার্কসপরের নামে ৫০ হাজার করে এক লক্ষ টাকা ফান্ড থেকে খরচ করা হয়, প্রকৃতপক্ষে যার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া সম্মানি, আপ্যায়ন অথবা যাতায়াত খরচ দেখিয়েও প্রায় লক্ষ টাকা বিদ্যালয় ফান্ড থেকে খরচ করা হয়। অথচ সম্মানি বা যাতায়াত ভাতা গ্রহণকারীর কোন পরিচয় উল্লেখ না করে শুধুমাত্র নিরীক্ষকের স্বাক্ষর দেখিয়ে এ সকল টাকা উত্তোলন করা হয়।
আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধির নামে সহকারী প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম দেওয়ান সম্মানি বাবদ ৫০০০ টাকা উত্তোলন করেন।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য কামরুল হাসান আকরাম বলেন, আমরা ২ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের অডিটের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে বললেও তিনি অডিট করাতে গড়িমসি করেন। আমরা ভাউচারগুলো দেখেছি, চিনি কিনে আনা হয়েছে ঢাকার বাড্ডা থেকে, বিস্কুট কিনে আনা হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে। প্রত্যেকটি হিসেবে নানা অসংগতি।
আরেক অভিভাবক সদস্য রামপ্রসাদ ঘোষ বলেন, আমরা গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ অথচ এই বছরে শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জ, মাসিক বেতন বৃদ্ধি করেছে। ২০ টাকার জিনিস ক্রয় করতে ভাউচারে যাতায়াত খরচ দেখানো হয়েছে ১৫০০ টাকা। এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষক বাদ দিয়ে বাইরে থেকে শিক্ষক নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধির সম্মানি বাবদ ৫০০০ টাকা উত্তোলন বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমার মনে নেই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে।