ধনবাড়ীতে নিখোঁজ শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি, র‌্যাবের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৪৬৯

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরশহরে স্কুল শিক্ষক মো. সুলতানুজ্জামান হেলাল (৫০) নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের এখনো সন্ধান মেলেনি।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১২ টাঙ্গাইল কোম্পানি কমান্ডার শফিকুর রহমান গতকাল শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

র‌্যাব-১২ টাঙ্গাইল কোম্পানি কমান্ডার শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, স্কুল শিক্ষক সুনতানুজ্জামান হেলাল তিনি তার আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অফিস কক্ষে অনুমান রাত ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে নিখোঁজ হয়। কিন্তু তার অফিস কক্ষ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে তার পরিবারের লোকজন ধারণা করছে তাকে খুন করার পর লাশ ঘুম করে ফেলা হয়েছে।

নিখোঁজের ঘটনায় তার পরিবার ধনবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন বলে এসকল তথ্য নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক হেলালের পরিবার থেকে জানতে পেরেছি। এ নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারী জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এর প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তার পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছি। তবে বিষয়টি এখনো রহস্যের মধ্যে রয়েছে। দ্রুত পুলিশের পাশাপাশি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে মূল রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে নলহরা (নল্যা) বাজারের আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালাক সুলতানুজ্জামান হেলাল তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রাতে নিখোঁজ হয়। কিন্তু তার অফিস কক্ষ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিবারের লোকজন ধারনা করছে তাকে খুন করার পর লাশ ঘুম করে ফেলা হয়েছে। নিখোঁজের ঘটনায় তার পরিবার ধনবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নলহরা (নল্যা) বাজারের সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা করে আসছিলেন। শিক্ষকতা করা অবস্থায় সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলের পরিচালক সহর আলীর সাথে শিক্ষার মান নিয়ে ব্যাপক দন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সুলতানুজ্জামান হেলাল ও সহর আলীর সাথ মাঝে মধ্যেই মনোমালিন্য হতো। সেই প্রেক্ষিতে সুলতানুজ্জামান হেলাল সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলের পাশেই আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক মাস আগে স্কুলের সাইন বোর্ড লগানো নিয়েও দুজনের মধ্য ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাকে দেখে নেয়া হবে বলে হুমকী প্রদান করে সহর আলী।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার অফিস কক্ষে খুন গুম করা হয় বলে হেলালের পরিবারের দাবী। উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের মৃত হাসান আলী মন্ডলের ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার এলাকায় শোকের ছায়া নেয়ে এসেছে।