অভিযুক্ত শিক্ষক নাছির উদ্দিন বরখাস্ত
শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ


টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ধর্মীয় শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কাকার্থা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ওই শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ওই শিতক্ষকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
কিন্তু বুধবার রাতে মেয়ের বাবার পরিবর্তে ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সখীপুর থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক নাসির উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একটি সূত্রে জানায়, ঘটনার পরপরই ওই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন।
মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এক সপ্তাহ মামলা না করে মীমাংসার চেষ্টা পরবর্তীতে ধর্ষণের পরিবর্তে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষককে বাঁচানো চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরই পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি জানানো হয়।
পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) আজিজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রী কলম খাতা কেনার জন্য উপজেলার কাকার্থা জয়বাংলা বাজারে শিক্ষক নাসির উদ্দিনের দোকানে যায়। আশপাশের দোকান বন্ধ থাকায় শিক্ষক নাসির উদ্দিন ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে দোকানের সাটার বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রীকে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতিও দেখায় শিক্ষক নাসির উদ্দিন।
পরে মেয়েটি ঘটনার তিনদিন পর বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে মারধর এবং দোকানঘর তালাবদ্ধ করে দেন।