নীলফামারীতে চলছে অশ্লীল সার্কাস সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে


নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সার্কাসের নামে চলছে অশ্লীল নাচ গান ও বেহায়াপনা।
এসব অশ্লীল নাচ গান দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্কুল কলেজের ছাত্রসহ উঠতি বয়সের তরুনরা।
ফলে সমাজিক অবক্ষয়ের আশংকা করছে এলাকাবাসি। জানা গেছে- উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কাউয়ার মোড় নামক স্থানে গত ১৮ই ডিসেম্বর “দি নিউ লাকী সেভেন” সার্কাস উদ্বোধন হয়।
প্রতিদিন ৩টি পর্বে সার্কাসের শো প্রর্দশন করা হয়। বিকাল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শো চলে। বড়ভিটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রউফের নেতৃত্বে এসব অশ্লীল নাচচ গান চলছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।
আর এসব খোলামেলা নাচ গানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্রসহ এলাকার সহজ সরল উঠতি বয়সের তরুনরা।
সার্কাস এলাকার বাসিন্দা মেম্বার মকছুদার রহমান, মজুরুল ইসলাম ও বাদল ইসলাম বলেন- কুরুচিপূর্ণ খোলামেলা নাচ গান দেখে ছাত্রসহ তরুনদের সামাজিক আবক্ষয ঘটবে।
এ ছাড়াও রাত ১২টা পর্যন্ত মাইকের উচ্চ আওয়াজে খেটে খাওয়া এলাকাবাসি মারাত্নক দুর্ভোগে পরেছে।
পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন বলেন- আমিও জেনেছি সার্কাসে অশ্লীল নৃত্য হচ্ছে। নৃত্যের প্রদর্শনের সময় নৃত্যকারীর বুকে দর্শকরা প্রকাশে গুজে দিচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকার কড়কড়ে নোট।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দু রউফ বলেন- আমি নাচ গান পরিবেশনের কোন দায়িত্বে নেই।
সার্কাস মালিকের সাথে আমার একটা ব্যক্তিগত সর্ম্পক রয়েছে। একারনে সার্কাস প্যান্ডেলে যাই। সার্কাস মালিক তারেক রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- খোলা মেলা কোন নাচ পরিবেশন করা হচ্ছে না। সামাজিক নিয়ম মেনেই নৃত্য পরিবেশন করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি কর্তৃপক্ষের উপর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।