মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে আধুনিক বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে


পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়ার নামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রংপুর-৫ আসনের সাংসদ হাবিবুরন্নবী আশিকুর রহমান।
তিনি আরোও বলেছেন-রোকেয়া একজন ম্যাজিক মেয়ে। তার জন্মের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ আলোকিত হয়েছে। অন্ধকার ঘুচে গেছে। শিক্ষাবিদ্যার চেতনায় নারী সমাজ আলোকিত হয়েছে। তার স্মৃতিবিজড়িত জন্মস্থানে বেগম রোকেয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে এর ফাইল জমা হয়েছে। আমি ঢাকায় সেই কাজের তদারকি করবো এবং কাজ কতোদূর হয়েছে তা জানবো। আশা এর ফল এবং শিঘ্রই আমরা বিশ^বিদ্যালয় করতে পারবো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে রোকেয়া দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম রোকেয়ার ১৩৯তম জন্ম ও ৮৭তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ.এন আশিকুর রহমান বলেন, শুধু মুখে নয়,কাজে আমাদের দেশপ্রেম প্রমাণ করতে হবে। কাজ করে থেমে থাকা যাবে না। অসাধারণ দেশ গড়তে হলে অসাধারণ মানুষও হতে হবে।তিনি বলেন, চাইলে অনেক কিছুই সহজে সোজা করা যায়, কিন্তু মানুষকে সোজা করা যায় না। মানুষকে সোজা করা কঠিন কাজ। এজন্য মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন,রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত (২০১৬) ও সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ আরমা দত্ত।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ্ আলম। সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শুকরিয়া পারভীন।এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সকাল নয়টায় রোকেয়ার জন্মস্থান পায়রাবন্দের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে সাড়ে নয়টায় আলোচনা সভা ও তিন দিনব্যাপী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
সকাল দশটায় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর একটায় পায়রাবন্দ জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যায় রয়েছে নাটিকা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর মহানগরীসহ জেলার আট উপজেলাতে বিভিন্ন নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে অলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, নির্ধারিত বক্তৃতা, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শনী, সম্মাননা স্মারক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।