মির্জাপুরে ঝুকিপুর্ণ কাঠের সাকো দিয়ে পার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্য পশ্চিম পাড়া খালের ওপর নির্মিত ঝুকিপুর্ণ একটি কাঠের সাকোই ছয় গ্রামের মানুষের প্রধান ভরসা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও এই সাকো পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে বলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া কর্মকার পাড়ার ওই খালটির কাঠের সাকোটি প্রায় এক বছর হল নির্মাণ করেছে জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদ। ওই খাল পার হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে পার্শবর্তী দেলদুয়ার উপজেলার মৈষ্টা, আর মৈষ্টা, কামান্না, কামান্না চরপাড়া, বড়মৈষ্টা, জামুর্কী ইউনিয়নের চরপাকুল্যা এবং বাদ্যগরপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থী। পাকুল্যা- দেলদুয়ার পাকা সড়ক থাকলেও ওই গ্রাম গুলির মাসুষেরা কম সময়ে এবং কম দুরত্ত্বের কারনে ওখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পাকুল্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাটিয়াচোরা শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাটিয়াচেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দু একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা কম দুরত্ত্বের কারনে ওখান দিয়ে নিয়মিত যাতাযাত করে থাকে।
জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের নির্মিত কাঠের সাকোটি অল্প দিনেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ওই খাল হয়ে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তী বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকুল্যা বাজারের ব্যবসায়ী তপন শেট বলেন ভাঙা কাঠের সাকো দিয়ে লোকজনসহ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে দেখে খুবই কষ্ট লাগে। তাদের কষ্ট লাঘবে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
পাকুল্যা গ্রামের কবি লেখক গোপাল কর্মকার বলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। একটি পাকা ব্রীজ হলে এই কষ্ট লাঘব হবে।
জামুর্কী ইউপি চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল বলেন শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি কাঠের সাকো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের সভায় ্ওখানে সহযোগীতার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. একাব্বর হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এমপি মহোদয় বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।