৪ গ্রামের ৬ হাজার মানুষের ভরসা বাঁশের সাকো

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৫৩৫

মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চুকুরিয়া কাজীবাড়ী নদীর ঘাটে ব্রীজ না থাকায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে চার গ্রামের মানুষ। এই ৪ গ্রামের ৬ হাজার মানুষের প্রধান ভরসা একটি বাঁশের সাকো।

ভুক্তভোগীরা জানায়, জামুর্কী ও বানাইল ইউনিয়নের চার গ্রামের অন্তত ৬ হাজার মানুষের চলাচলের স্থান চুকুরিয়া কাজীবাড়ি নদীর ঘাট। বর্ষা মৌসুমে ওইসব গ্রামের মানুষের প্রধান ভরসা নৌকা। আর পানি একটু কমলে ওই নদীতে নির্মিত বাঁশের সাকেই দিয়ে ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শতশত মানুষ।

বর্তমানে বাঁশের তৈরি সাকো দিয়ে এ রাস্তাায় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে বাদে হালালিয়া,ঠাকুর হালালিয়া, উফুল্কী ও চুকুরিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষ।

এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে চার গ্রামের ৬ হাজার মানুষের ভোগান্তি দুর হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

ভুক্তভোগী মোঃ মুন্নাফ (৬০) বলেন,"আমাদের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। বয়স হয়েছে নদীর ঢালু ওঠতেই বেশি কষ্ট লাগে। তাছাড়া পোলাপান স্কুল কলেজে যায়। ব্রীজ না থাকায় কষ্ট হয় ওদের। বর্ষায় নৌকায় নদী পাড় হতে গিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে পড়ে গেছিল।"

দ্বাদশ শ্রেণীর মোঃ হামিম ইসলাম বলেন আমরা কলেজে যাই খুব কষ্টে। বৃষ্টি বা বর্ষা হলে তো সমস্যা আরো বাড়ে। নদীতে যখন ভরা পানি থাকে নৌকায় অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। এখানে ব্রীজ হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে।

ব্রীজ হলেই ধান চালসহ বিভিন্ন মালামাল ওপাড়ে নেওয়া সহজ হবে, তাই ব্রীজ চাই" কথাগুলো বলছিলেন ৭০ বছর বয়সী সামাদ শিকদার।

এ ব্যাপারে জামুর্কী ইউপি চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেনের কাছে ওই ভুক্তভোগী মানুষের কথা উত্থাপন করার পর তিনি ওই স্থানের জন্য একটি পাকা ব্রীজ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতী দিয়েছেন।