মিঠাপুকুরে

চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় আদিবাসী পরিবার

মিঠাপুকুর (রংপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ | ৫৬১

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬নং মির্র্জাপুর ইউনিয়নের ভগবতীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় শ্রী সুভাষ চন্দ্র উড়াও এর পরিবার।

শনিবার সরেজমিনে বাগানে গিয়ে জানা যায়, তারি নজস্ব চায়না লেবুর বাগানের ভিতরে পেপেঁর বাগান রয়েছে। এ প্রতিবেদক ঐ আদিবাসী পরিবারের কাছে বাগান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শ্রীসুভাষ চন্দ্র উড়াও জানান, আমি ঐ জমিতে আগে বেগুন চাষ করে আসছিলাম কিন্তু স্থানীয় গ্রামের এক কৃষক মনজুরুল ইসলাম তার নিজস্ব জমিতে একটি লেবুর বাগান ছিল । আর সেই বাগান থেকে লেবুর চারাও বিক্রয় করা হতো। তবে প্রতিটি লেবুর চারার মূল্য ৩০ টাকা দরে বিক্রয় করত।

সেই মনজুরুল ইসলাম ঐ এক আদিবাসী পরিবারে যাতায়াত করত এবং চায়না লেবু চাষ করার কথা বলেন ঐ আদিবাসী পরিবারকি ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে ঐ বিষয়ে সর্বদায় পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আমি তার পরামর্শ অনুযায়ী আমার নিজস্ব জমিতে লেবুচারা ও পেপেঁর চারা রোপণ করি। রোপনকৃত বাগানের জমির পরিমান ৫৮ শতক জমিতে ২‘শ ৫০টি লেবু চারা রোপন করা হয়েছে। লেবু চারা রোপনের বয়স হচ্ছে ১ বছর ১০মাস । লেবুর বাগান থেকে প্রতিস প্তাহে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজারটি লেবু তুলেরং পুরশহরে বিক্রয় করেন তিনি এবং সেই চায়না লেবুর বাগান ও পেপেঁর বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে আয় হয় ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি সপ্তাহে তেলার সময় ২ থেকে ৩ জন কৃষার-কৃষানীরা কাজ করে এবং প্রতি ২ থেকে ৩ মাস পরপর ১০ থেকে ১২ জন কৃষক চায়না লেবুর বাগান ও পেপেঁর বাগানে কর্ম ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণীরা ১দিন খাওয়া-দাওয়াসহ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ২’শ ৫০ থেকে ৩ শতটাকা করে।

শ্রীসুভাষ চন্দ্র উড়াও আরো জানান, আমার বাগানে লেবুর চারা পাশাপাশি পেপেঁ চারাও রোপন করা হয়েছে । প্রতি মাসে মাসে ২ থেকে ৩ মণ পেপেঁ বাজারে বিক্রয় করে থাকি এবং আগামী শীতে ঐ লেবু ও পেপেঁর বাগানে বিকল্প পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করা হবে বলে তিনি জানান এবং এই লেবুর বাগান থেকে আমার পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে ভবিষৎতের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে সুন্দর জীবনযাপন ও উন্নয়নের ছোয়াঁ নেমে আসবে বলে আমি আশাকরি। তিনি আরো জানান,আমার জমির পাশে আমার ভাই রবিন চন্দ্র উড়াও এর পরিবারে উন্নয়নের নিমিত্তে ও ভবিষৎতে সুন্দর জীবন করার জন্য তিনিও ৫৮ শতক জমিতে একই পরিমান লেবুর চারা রোপন করেন।