দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী সোহেল শাহরিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ | ২৮৩৩

আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস ২৩ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে নতন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির জ্যোষ্ঠপুত্র অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

নতুন চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নব উদ্যোমে যুবলীগকে চালনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হবে অতি দ্রুত। ফলে জমে উঠেছে পদ প্রত্যাশীদের প্রচার প্রচারনা ও লবিং। ক্লিন ইমেজের পরীক্ষিত সাবেক ছাত্র নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের শক্তিশালী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সোহেল শাহরিয়ার রানা। তিনি অসংখ্য কর্মী সমর্থকের বিশাল শোডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর রাজপথে ফিরে আসায় সোহেলকে পেয়ে প্রাণ চাঞ্চলতা ফিরে পেয়েছেন দুঃসময়ের নির্যাতিতরা। উৎফুল্ল মনে আবার সক্রিয় হচ্ছেন রাজনীতি থেকে দূরে থাকা অভিমানী ত্যাগীরা। সোহলে শাহরিয়ার রানাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চান দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি রয়েছেন আলোচনার তুঙ্গে।

সোহেল শাহরিয়ার রানা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত চাঁন মিয়া ও হামিদা বেগমের সন্তান। তার পৈত্রিক নিবাস ঢাকার শাহজাহানপুরের খিলগা বাগিচা এলাকায়। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ পাস করেছেন।

স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে সোহেল শাহরিয়ার রানা আওয়ামী জগতে প্রবেশ করেন। তিনি (১৯৯৫-১৯৯৬) শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্য, (১৯৯৭- ২০০২) হাবিবুল্লাহ্ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, (২০০২-২০১১) পর্যন্ত বৃহত্তর মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০১১ সালে ফ্রিডম মানিক ও ক্যাসিনো খালেদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রাণভয়ে কানাডায় চলে যেতে বাধ্য হন। কানাডায় গিয়েও তিনি আওয়ামী আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননি। প্রবাসে দলকে সুসংগঠিত করতে করছেন আপ্রাণ চেষ্টা। সেখানে (২০১২-২০১৫) টরেন্টো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং (২০১৮-বর্তমান) কানাডা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছেন।

২০০৪-২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে সোহেল শাহরিয়ার কমপক্ষে ১২টি মামলার শিকার হন। এসব মামলায় তিনি প্রায় দুই বছর কারাভোগ করেন। আওয়ামী লীগের দু:সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে বিরোধীরা। ২০০৮ সালে দল ক্ষমতায় আসার পরও ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা সোহেল শাহরিয়ার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশে রাজনীতি করতে পারেননি।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গেলে সোহেল শাহরিয়ার তার সাথে দেখা করেন। ছাত্রলীগ করতে গিয়ে অত্যাচার নির্যাতনের কথা সোহেল শাহরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা তাকে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার আহ্বান করেন।

হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির সদস্য নুরন্নবী বলেন সোহেল শাহরিয়ার বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে নানাবিধ নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী লীগের দু:সময়ে সাহসিকতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১/১১ সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এজন্য তার রক্তও ঝরেছে। সোহেল শাহরিয়ার ছোট বেলা থেকে ছাত্রলীগ করতে করতে এ পর্যন্ত এসেছেন। তার বাবা আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

কানাডা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, তিনি পরিচ্ছন্ন একজন রাজনৈতিক নেতা এবং ভাল মনের মানুষ। আমরা যে কোন প্রয়োজনে তাকে কাছে পাই। যুবলীগের কমিটিতে সোহেল শাহরিয়ার ভাইকে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হোক।

মতিঝিলের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। সেই সময়ের নির্যাতিত ত্যাগী ছাত্রনেতা সোহেল শাহরিয়ার রানা। দল বর্তমানে ত্যাগীদের খুঁজছে। তার মত দু:সময়ের পরীক্ষিত ছাত্রনেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। ত্যাগীরা মূল্যায়িত হবেন।

সোহেল শাহরিয়ার রানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রলীগ করেছি। আওয়ামী লীগের সুসময়ে অনেকেই নেতা হয়েছেন। যারা কখনোই আওয়ামী লীগ করেননি। ব্যবসা আমার পেশা, রাজনীতি আমার নেশা। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ পদে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি অতীত ও বর্তমান বিবেচনা করে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।

সোহলে শাহরিয়ার আরো বলেন দীর্ঘদিন পর সেই চিরচেনা রাজপথে ফিরে আসার অনূভুতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভাই ব্রাদারদের ভালবাসার কাছে আমি চির ঋনী ও কৃতজ্ঞ।