রাস্তায় ধান মাড়ায়, জন দুর্ভোগ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর-উয়ার্শী, মির্জাপুর-কেদারপুর-নাগরপুর ও পাকুল্যা-লাউহাটি সড়কে ধান, খড় শুকানো ও মাড়াইয়ের কারণে যান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কগুলি বিভিন্ন এলাকার লোকজন চাতাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাপুর-কেদারপুর-নাগরপুর সড়কের দুল্যা বেগম, বৈঞ্চবপাড়া, ভাতগ্রাম, মৈশামুড়া, খাগুটিয়া, আটিয়া মামুদপুর, মির্জাপুর-উয়ার্শী সড়কের সরিষাদাইড় ,কুতুববাজার, ঘুগী, রোয়াইল, উয়ার্শী, পাকুল্যা-লাউহাটি সড়কের পাকুল্যা, গল্লী, ভাবখন্ড ও পার্শ্ববর্তী মামুদপুর এলাকার অধিকাংশ স্থানে পাকা রাস্তার উপর ধান, খড় শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে।
নারী-পুরুষেরা এসব কাজে রাস্তায় রয়েছেন। তাঁরা খেত থেকে ধান কেটে এনে সড়কে ফেলছেন। সেখানেই যন্ত্র দিয়ে ধান মাড়াই করছেন অনেকে। অনেকে পলিথিন ও চট বিছিয়ে ধানসহ খড় রাস্তার উপর শুকিয়ে দিচ্ছেন। এতে একদিকে খড় শুকাচ্ছে। অপরদিকে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের চাকায় ধান মাড়াই হচ্ছে।
সরিষাদাইড় গ্রামের হযরত আলী বলেন, যান চলাচলে অসুবিধা হয় জানার পরও জায়গা না থাকায় রাস্তায় তিনি খড় শুকিয়ে দিয়েছেন।
খাগুটিয়া গ্রামের লালবানু বলেন, ‘রাস্তায় ধান দিছি খারাপ অইছে। গরু ন্যাই। মলন দিয়্যা পারিনা। খ্যাত থিক্যা আটি আইনা রাস্তায় দিছি। খ্যার হুকাইত্যাছে। ধানও ব্যারাইত্যাছে।’
খুশি মোহন বলেন, গাড়ির চাকার ঘর্ষণে খড় থেকে ধান বের হয়। অতি সহজেই ধান পাওয়া যায়। খড়ও শুকায়।
এদিকে কোন কোন স্থানে অর্ধেক আবার অধিকাংশ স্থানে রাস্তার সম্পূর্ণ অংশে ধানসহ খড় শুকিয়ে দেওয়াতে সেগুলোর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে জনযান চলছে।
পিকআপ ভ্যান চালক বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমাদের খুবই সমস্যা হয়। চাকার মধ্যে খ্যার পেচিয়ে চাকার বেয়ারিং বিকল হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. সামছুদ্দিন বলেন, বিষয়টি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।