দালালের দখলে বিআরটিএ অফিস

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৬:২৭ এএম, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯ | ৪৭৮

ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র অফিস এখন ঘুষ দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুন ও দালাল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

সহকারি পরিচালক বিলাস সরকারের মৃত্যুর পরে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর নতুন যোগদান করেন এস এম মাহফুজুর রহমান।

তিনি যোগদানের পরে ঘুষ দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুন পরিমানে। পুরো অফিসই এখন পরিচালিত হচ্ছে বেশ কিছু দালাদের সমন্বয়ে।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বমোট সাতজন ষ্টাফ এখানে নিয়মিত কাজ করেন। আর তারা হলেন ফরহাদ উদ্দীন, মাইদুল হাসান, সাহাবুদ্দীন, রবিউল ইসলাম, জাহিদুল হাসান, মফিজ, শহিদুল ইসলাম ও বাবুল আক্তার।

সরজমিনে বিআরটিএ’র অফিসে গিয়ে আলোচিত দালাল জন, মুক্তার, আনোয়ার, সামিউল, মুন্নু, ফারুক সহ নাম না জানা আরও বেশ কয়েক কয়েক জন দালালকে দেখা যায়। যারা কেউই বিআরটিএ অফিসের স্টাফ না, বিভিন্ন কক্ষে তাদের কাজ করতে দেখা যায়।

এসব দালালদের তারা কে কোন পোষ্টে আছে প্রশ্ন করলে তারা সাংবাদিকদের জানায়, আমরা সবাই স্যারের লোক।

সাধারন মানুষকে হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার ব্যাপক অভিযোগও রয়েছে বিআরটিএ অফিস ও তাদের পৌষ্য আলোচিত দালালদের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক গ্রাহক বলেন, গাড়ির রুট পার্মিট নেওয়ার জন্য গেলে ফিল্ড ম্যাকানিক্যস বাবুল আক্তার ও দালাল আনোয়ার মিলে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করে। এছাড়া বিআরটিতে কাজ করতে আসা প্রায় সবার কাছেই হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। হয়রানি ও ঘুষ ছাড়া এই বিআরটিএ অফিসে কোন কাজ হয়না বলে জানান উপস্থিত ভুক্তভুগীরা। ঘুষ না দিলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়।

এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক এস এম মাহফুজুর রহমান জানান, আমি এখানে যোগদানের আগে থেকে এরা এই অফিসে কাজ করে আসছে। আমি এদের অনেককে ভাল করে চিনিওনা, রেকর্ডরুমে আবর্জনার মধ্যে এরা কাজ করে অভ্যস্ত। আমার অফিসের নিয়মিত কর্মচারীরা রেকর্ড রুমে কোথায় কোন ফাইল আছে তা জানেনা তাই এসব বহিরাগত কর্মীদিয়েই কাজটি করতে হয়।

তিনি আরো বলেন কেউ আমার লোক নাই সবাই আপনাদের ঝিনাইদহের লোক। ঝিনাইদহবাসী বিআরটিএ’র এসকল ঘুষ দূর্নীতি ও দালালদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। ঝিনাইদহরে আপামর সাধারণ জনগন বিআরটিএ অফিসের হয়রানি ও দালালদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।