ভূঞাপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ দিন যাবত পানি সরবরাহ বন্ধ


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির পাম্প বিকল থাকায় ১০দিন যাবৎ পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আবাসিক ভবন গুলোতে পানি সরবরাহ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চিকিৎসা নিতেআসা রোগী ও আবাসিক ভবনে বসবাসকারি ডাক্তার, নার্সসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা পানি নাথাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সর্বত্র দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি সরবরাহের পাম্পটি গত ১০ অক্টোবর বিকল হয়ে যায়। এতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় পুরোস্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবন গুলোতে। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসানিতে আসা রোগী, আবাসিক ভবনে বসবাসকারি ডাক্তার, নার্সসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরাচরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করেটি টয়লেট ও গোসলখানা ব্যবহার করতে পারছেনা রোগীরা। ডায়রিয়া রোগীদের জামা-কাপড় অন্যত্র জায়গা থেকে পরিস্কার করে আনতে হচ্ছে। এমনঅবস্থায় ভর্তি গরীব রোগীরাও চিকিৎসা নিতে অন্যত্রচলে যেতেবাধ্য হচ্ছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতাল এখন প্রায় রোগী শূণ্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে রজরুরী বিভাগে পানির অভাবে চিকিৎসাদিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বাহিরের টেউবওয়েল থেকে বালতি করে পানি এনেজরুরী বিভাগ চালাতে হচ্ছেতাদের। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা পানির অভাবে টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারা বাইরে থেকে বালতিযোগে পানি এনে টয়লেট ব্যবহার করছে। পর্যপ্ত পানি না থাকায় টয়লেটের দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরোস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও বিকল পাম্পটি চাল ুকরতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার মেঘারপটল গ্রামের আখি বেগম বলেন, চার দিন ধরে খুব কষ্টকরে হাসপাতালে আছি। টয়লেটে পানি না থাকায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। যাদের সামর্থ আছে তারা হাসপাতাল থেকে অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিতে চলে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একাধিক নার্স জানান, পানি সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতাল জুড়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে গেছে। হাসপাতালে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জুনিয়র মেকানিক খোরশেদ আলম বলেন, হঠাৎ করে পাম্প বিকল হওয়ায় ও পাইপে আয়রন জমে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মহী উদ্দিন আহম্মেদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাম্পটিতে ত্রুটি দেখা দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলীপাম্প নিয়ে গেছেন। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে পাম্পটি মেরামত করে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।