অপহরনকারীদের হুমকি
মির্জাপুরে ছাত্রী অপহরন ও পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


মির্জাপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রী অপহরনের ঘটনার দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি। মামলা তুলে নিতে অপহরনকারীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দি সেইসাথে পুলিশের ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ । মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অপহৃত ছাত্রীর বাবা শহীদ সিদ্দিকী এই অভিযোগ করেন।
অপহৃত ওই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে।
শহদি সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেরনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,তার মেয়ে ইসরাত জাহান সাদিয়া মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে কাওসাল আহমেদ জিএম প্রায়ই বিরক্ত করত এবং নানা রকম কুপ্রস্তাব দিত। কাওসার বর্তমানে মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় থাকে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নেওয়ার হুমকিও দেয় কাওসার।
১৯ নভেম্বর সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে সাদিয়া বাড়ির পাশেই তার চাচার বাড়ি যাচ্ছিল। তখনই কাওসার এবং তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাদিয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চলে যায়। সাদিয়ার আতœচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসলেও তাকে উদ্ধর করতে পারেনি।
এই ঘটনায় সাদিয়ার বাবা শহদি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ওইদিনই মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৬, তারিখ ২০-১১-২০১৭ ইং।
এদিকে মামলা তুলে নিতে কাওসার এবং তার সহযোগীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে শহীদ সিদ্দিকীকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে তার ছোট মেয়েকেও তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেরনে অভিযোগ করা হয়।
এব্যাপারে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন ছাত্রীর বাবা শহীদ সিদ্দিকী।
মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই মামলার ব্যাপারে পুলিশের কোন গাফিলতি নেই। ১৯ তারিখে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই একাদীক স্থানে অভিযান চালানো হয়।
২০ তারিখে লিখিত অভিযোগের পর মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুনরায় অভিযান চালানো হয়। মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশের জোড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।