ঢাকার বাতাসের মান জানাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস


রাজধানীর বাতাসের মান গত তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। বাতাসের মান তাৎক্ষণিক পাওয়া যাবে দূতাবাসের চালু করা একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
বাতাসের মান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান দূত ড. জেমস জে. শওয়ারের সফর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাতাসের মান পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন টুইটার হ্যান্ডেল ঘোষণা করেছে। তা হচ্ছে @Dhaka_Air। বুধবার দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
দূতাবাস সূত্র জানায়, বাতাসের মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্বের সর্বত্র প্রতিটি মানুষের ওপর এটি প্রভাব ফেলে। মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি এক বিশাল ও ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি। অর্থনীতির ওপরও এটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
বাতাসের মান ভালো রাখার জন্য সমাধান উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্যউপাত্ত পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে বাতাসের মান পর্যবেক্ষণের যন্ত্র স্থাপন করেছে।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখানে বাতাসের মান পর্যবেক্ষণের যন্ত্র চালু রেখেছে। এর মাধ্যমে বাতাসের মান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হয়ে আসছে যা সবার কাছে সহজলভ্য। এ সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত ইপিএ-র ওয়েবসাইট (AirNow.gov), যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং এখন থেকে নতুন টুইটার হ্যান্ডেল @Dhaka_Air এ পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক স্মার্টফোন অ্যাপেও এ তথ্য ব্যবহার করা হয়।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বচ্ছ, তাৎক্ষণিক তথ্যউপাত্ত বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকরা এসব উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাতাসের মান পর্যবেক্ষণের তথ্যউপাত্ত বাংলাদেশের বিদম্যান ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ (কেস) প্রজেক্ট এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের মাধ্যমে পাওয়া উপাত্তের অতিরিক্ত।