বিত্তবানরা এগিয়ে এলে একজন সেবীকা বাচতে পারে

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট ২০১৯ | ৪৭৬

জীবনের বেশির ভাগ সময় যিনি অসুস্থ রোগীকে সেবা দিয়েছেন এখন মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাসায়ী গীতা সরকার। অর্থাভাবে চিকিৎসা চলছে না তার। বর্তমানে তিনি কুমুদিনী হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সমাজের বিত্তবানরা ্এগিয়ে এলে এই সেবীকার চিকিৎসা চলতে পারে।

গীতা সরকার মির্জাপুর পৌর সদরের বাসিন্দা। তার স্বামী রতন সরকার দীর্ঘদিন রোগভোগের পর গত এক বছর আগে মৃত্যু বরণ করেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানান, প্রায় তিন দশক আগে কুমুদিনী হাসপাতালে সেবিকার চাকুরী নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন গীতা সরকার। সেখানে তিন বছর চাকুরী শেষে উপজেলা সদরের কলেজ রোডস্থ বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র মির্জাপুর ক্লিনিকে চাকুরী নেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ওই ক্লিনিকটিতে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন।

গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন। পরে তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, গীতা সরকার লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল বলে তিনি জানান।

এদিকে এই মরনব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই গীতা সরকারের পরিবারের। গীতা সরকারের একমাত্র ছেলে মির্জাপুর সরকারি সদয় কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন উজ্জল সরকার জানান, আমার এই সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এরমধ্যে মায়ের এই কঠিন ব্যাধির চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। উজ্জল তার মায়ের চিকিৎসার সহায়তায় সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা পাবেন বলে আশাবাদী।

গীতা সরকারকে চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা ছেলে উজ্জল সরকারের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর (বিকাশ) ০১৮১৮৭২৩৯৯২।