ভূঞাপুরে পানিবন্দি চার গ্রামের মানুষ

যমুনার পানি বিপদসীমার ৪২ সে.মি. উপরে!

মামুন সরকার ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩০ পিএম, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ | ৪৪৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় যমুনা তীরবর্তী চার গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী, স্থলকাশি ও ভালকুটিয়া গ্রামে যমুনার পানি প্রবেশ করে। হঠাৎ করেই যমুনার পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার গুলোতে পানি উঠে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর ফসলের জমি। ঘর-বাড়ী, মসজিদ-মন্দিরে পানি প্রবেশ করেছে।

পানিবন্দি মানুষগুলো উচুস্থান ও পাকা রাস্তার পাশে আশ্রয় নিরেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষগুলো। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারন কৃষক। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। ছবিটি বুধবার সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজার থেকে তোলা হয়েছে। এছাড়া ১০-১২ দিন আগে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙনে কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী ও ভালকুটিয়া গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার কষ্টাপাড়া ও খানুরবাড়ী এলাকায় সোমবার রাত থেকে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে আরো তিন গ্রামে প্রবেশ কয়ায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যাকবলিত মানুষেরা জানায়, হঠাৎ করেই গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। কিছু করার আগেই ঘরের জিনিষপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। টয়লেট, টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ায়ম্যান আলহাজ¦ আব্দুল হালিম এ্যাডভোকেট বলেন, হঠাৎ করে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের তিন- চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে।

টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবারে যমুনার পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন রোধে আমরা কাজ করছি এবং কাজ চলমান রয়েছে।