ভোলাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আনুরোধ-পুলিশ সুপারের
পদ্মা সেতুতে কল্লা লাগবে স্রেফ অপ-প্রচার
 
												 
																			পদ্মা সেতুর জন্য একলক্ষ কল্লা লাগবে স্রেফ আপ-প্রচার,ভোলাবাসীকে এসব আপ-প্রচারে কান না দেয়ার জন্য অনুরাধ করা হলো। কল্লাকাটা আপ-প্রচার ছড়িয়ে একটি কুচক্র মহল মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন। আসলে এই ধরনের আপ-প্রচারের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই।
বৃহস্পতিবার(১১জুলাই) দুপুরে ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
ভোলা শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। চায়ের দোকানের আড্ডায়, হাট-বাজার, বিদ্যালয় থেকে বাসাবাড়িতে কয়েকদিন যাবত একটি নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। আর সেটি হলো কল্লাকাটা বা মাথাকেটে নিয়ে যাওয়া । এনিয়ে যত আজব আজব গল্পও ছড়াচ্ছে মানষের মুখে মুখে।
যা সবই আতকে ওঠার মতো। কোন সেতুতে নাকি মানুষের কল্লা লাগবে। কেউ শুনেছে ২০হাজার আবার কেউ শুনেছে ৫০হাজার কল্লা। কেউ শুনেছে ১লক্ষ কল্লা দিতে হবে। সে ছোট ছেলেমেয়ে হোক বা বুড়ো হোক। কেউ শুনেছে অমুক এলাকা থেকে কল্লাকাটায় ২জনকে ধরে নিয়ে গেছে।
কেউ শুনেছে ছোট বাচ্চাদের কল্লা নেওয়ার সময় ’অমুক’ জায়গায় ১জনকে আটক করেছে লোকজন। এনিয়ে রীতিমত বাকবিত-াও চলছে। যদিও কেউ চোখে দেখেনি। সবাই শুনেছে। আর এই শোনা থেকে শোনা আলোচনা এখন ক্রমেই আতঙ্কে রুপ নিচ্ছে। বিদ্যালয়ে সন্তানদের একা ছাড়ছেননা বাবা-মায়েরা।
এদিকে এসব আপ-প্রচার(গুজব) ছড়ানোর অপরাধে গতকাল বুধবার ভোলার চরফ্যাসন থেকে সহিদ হাওলাদার( ২৪) নামে আটক করেন চরফ্যাশন থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে আপ-প্রচার ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত একটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আটক আব্দুল সহিদ হাওলাদার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী হাওলাদারের ছেলে।
অনলাইনে আপ-প্রচার ছড়িয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর দায়ে আব্দুল সহিদ হাওলাদারকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের সোর্পদ করা হয়েছে।পদ্মা সেতুর জন্য এক লক্ষ মাথা লাগার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এসব মিথ্যা আপ-প্রচারে সাধারন মানুষ জাতে বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মীর শাফিন মাহমুদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(লালমোহন সার্কেল)মোঃ রাসেদুল রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(চরফ্যাসন সার্কেল) মোঃ ছাব্বির আহম্মেদ, ভোলা জেলা গোয়েন্দ পুলিশ(ডিবি) ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
 
                         
 
             
            