নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা। তিনি বলেন: তদন্ত শেষে রোববার সাইবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ রাফিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এমন অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ওসি নিয়ম ভেঙে জেরা করতে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। মৌখিক অভিযোগ নেয়ার সময় দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না। ভিডিওটি প্রকাশ হলে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ২ মে প্রতিবেদন পুলিশ সদর দফতরে জমা দেয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিট অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ফেনীর পুলিশ সুপারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।