মাভাবিপ্রবিঅএ সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০০ এএম, বুধবার, ৮ মে ২০১৯ | ১৮৩৬

‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ’‘ঐক্য, সাম্য ও ন্যায়-নীতি শতরূপে বিকশিত কল্যাণ-উন্নতি’ এর স্লোগানে
কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, পেশাগত দক্ষতা, মর্যাদা বৃদ্ধি, সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে মাভাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন-এর কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০১৯-২০২০ এর সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহার বুধবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তাদের মাঝে বিতরন করে নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করেন।

শহিদুলের নির্বাচনী ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার/ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী/ পরিচালক/ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/লাইব্রেরিয়ান/সমমান অফিসারের সকল পদকে ২য় গ্রেডে উন্নিতকরণ।

২. সকল অফিসারের পদ অনুযায়ী যৌক্তিক বেতনস্কেল পুনঃনির্ধারণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।

৩. ডেপুটি রেজিস্ট্রার/ সমমান কর্মকর্তাদের জন্য এডিশনাল রেজিস্ট্রার/ সমমান পদ সৃষ্টি করা এবং নিম্নমান সহকারী/সমমান পদের জন্য ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

৪. কর্মকর্তাদের প্রারম্ভিক বেতনস্কেল পুনঃনির্ধারণ (সেকশন অফিসার ২৩,০০০/-, সহকারী রেজিস্ট্রার/ সমমান ৩৫,৫০০/-, নির্বাহী প্রকৌশলী/ সমমান ৪৩,০০০/-, উপ-রেজিস্ট্রার/ সমমান ৫০,০০০/-) করা।

৫. ৫৬,৫০০/- বেতনস্কেলে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/সমমান পদ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সেকশন অফিসার/সমমানসহ উচ্চতর পদে যোগদানকারী সকল কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/সমমান পদে পদায়ন।

৬. মেডিক্যাল অফিসার, বেতনস্কেল ২২,০০০/- থেকে ১২ বছরে চিফ মেডিক্যাল অফিসার, বেতনস্কেল ৬৬,০০০/- পদে পদায়নের নীতিমালা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণসহ মেডিক্যাল সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত জনবলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭. অফিসার্স এসোসিয়েশনের কোনো প্রতিনিধি যাতে নিয়োগবাণিজ্য, গোপনে ঠিকাদারী কাজে অসৎভাবে আর্থিক অনিয়ম করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।

৮. প্রতিটি অফিসার সময় মতো নিজ দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা।

৯. অফিসারদের যে সকল পদে নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে তা নিরসন করে আপগ্রেডেশেন ও প্রমোশনের ব্যবস্থা করা।

১০. পেনশন নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

১১. সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করা।

১২. অসুস্থ অফিসারদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা এবং মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে স্বল্প সময়ে প্রাপ্ত অর্থ প্রদান করা। সেই সাথে অকালপ্রয়াত ব্যক্তির পরিবারের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে চাকরির ব্যবস্থা করা।

১৩. অফিসারদের কাজের দক্ষতা অর্জনের জন্য

  •  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
     উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা ছুটির ব্যবস্থা করা।
     ডেপুটেশনের ব্যবস্থা করা।
     লিয়েনসহ খ-কালীন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।


১৪. কর্মকর্তাদের পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।

১৫. টিচিং পদ ব্যতীত ননটিচিং সকল পদে কর্মকর্তাদের অফিস/ শাখা প্রদানের ব্যবস্থা করা।

১৬. বাৎসরিক সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বনভোজনের ব্যবস্থা করা।

১৭. শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে স¤প্রীতি বজায় রাখা।

১৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত পোষ্য কোটার বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর এর পরিবর্তে আবেদন করার যোগ্যতা হলেই ভর্তির ব্যবস্থা করা।

১৯. অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যাতে স্বল্পতম সময়ে তার প্রাপ্ত ভবিষ্য তহবিল, পেনশন ইত্যাদি তুলতে পারেন তা নিশ্চিত করা।

২০. সার্ভিস বুকের ব্যবস্থা করা।

২১. কর্মকর্তাগণের কল্যাণতহবিল গঠন করা।

নির্বাচনে মোট ১৭ টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ২৮ জন প্রার্থী। ১২ মে (রবিবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় একাডেমিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ মাকসুদুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সহকারী রেজিস্ট্রার (স্টোর) মোঃ গোলাম মওলা এবং ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০৪ জন।