রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড জানুয়ারিতে


নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যা এক মাসের হিসাবে রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ১৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। আর ডিসেম্বরে এসেছিল ১২০ কোটি দুই লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রবিবার রেমিট্যান্সসংক্রান্ত এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
রেমিটেন্স্যার এই অঙ্ক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫.২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২.২ শতাংশ বেশি। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০৮ কোটি ১৩ লাখ (প্রায় ৯.০৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিল ৮৩১ কোটি ২০ লাখ (৮.৩১ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৯.২৫ শতাংশ। গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এই অঙ্ক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিট্যান্সের নিম্নগতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
সুদ, ক্ষতিপূরণসহ রিজার্ভ চুরির মামলার ক্ষতিপূরণে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তিতে তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
গতকাল রবিবার বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।