কেন ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন কাদের সিদ্দীকী


নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার আগে আওয়ামী লীগের সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দীকী। এ খবরে কয়েকদিন ধরেই সরব বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আলোচনায় আছে কয়েক দফা সময় নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করেছেন তিনি।
তবে, এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে কাদের সিদ্দীকী বলেছেন, যে জোটেই থাকুন গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে আপস করবেন না।
ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন ছিল এই জোটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যোগ দেয়া। এ বিষয়ে প্রথমে ৩১ অক্টোবর নিজের অবস্থান জানানোর কথা থাকলেও সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নেন তিনি। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে আরো সময় লাগবে বলে জানানো হয়। অবশেষে ৫ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
পরের দিন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর আসে ক্ষমতাসীন জোটে যোগদানের দর কষাকষি করতেই কালক্ষেপণ করেছেন কাদের সিদ্দীকী। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।
কাদের সিদ্দীকী বলেন, ‘যখন যার যাকে প্রয়োজন তখন মানুষ তাকে নিয়ে চেষ্টা করে। আমি কারও সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। গেল ২ মাসে উনাদের কত নেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমার দিক থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। ৫ তারিখে আমার দলের বৈঠকে ৩৬ জনের মধ্যে ৩৫ জন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।’
টাঙ্গাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধের কারণেই ক্ষমতাসীন জোটে যোগ দেয়া সম্ভব হয়নি এমন গুজবেরও জবাব দেন তিনি। কাদের সিদ্দীকী বলেন, ‘এক সময় আওয়ামী লীগের কোনো মন্ত্রী বলেছিলেন, কাদের সিদ্দীকীর দলে কেউ নেই। আমার ছেলেমেয়ে স্ত্রী পাশে থাকলে আমি হিমালয় জয় করতে পারি।’
যে জোটেই থাকুন গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজের অবস্থানে আপস করবেন না বলেও জানান কাদের সিদ্দীকী।