বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে পঙ্গুত্বের অভিশাপ মুক্ত হবে গোবিন্দ


মির্জাপুর বাজারের লন্ড্রি ব্যবসায়ী গোবিন্দ দাস। এই ব্যক্তি স্বল্প আয়ের হলেও সংসারে সুখের কমতি ছিলনা। কঠিন ব্যাধি ভাসকুলার নেকরোসিমা রোগে আক্রান্ত হয়ে গোবিন্দ ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে। তার সুখ এখন দুঃখের সাগওে পরিনত হয়েছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেমে যাওয়ায় পঙ্গুত্ব নিশ্চিত আর স্ত্রী সন্তান নিয়ে পরেছেন বিপাকে।
গোবিন্দ দাসের বাড়ি মির্জাপুর পৌর এলাকার আন্ধরা গ্রামে। গোবিন্দ দাস মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতেই লেখাপড়া থেমে যায় অর্থের অভাবে। পৈত্রিক ব্যবসা লন্ড্রিতে বসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ ছিলনা তার সামনে। শুরু হয় গোবিন্দর পথচলা। স্বল্প আয়ে মা বাবা নিয়ে চলতে চলতে একসময় সংসার হয় তার। বর্তমানে স্ত্রী দুই সন্তান আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে সংসার তার।
প্রায় দুই বছর আগে গোবিন্দ তার দুই হিপে ব্যাথা অনুভব করলে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিছুদিন বিরতির পর আবার ওই ব্যাথা শুরু হলে তিনি মির্জাপুর এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে জানতে পারেন তার দেহ এবং কোমরের সংযোগস্থলে হাড়ের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে হাড় ক্ষয় যাওয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে তার বাম পা কিছুটা খাটো হয়ে গেছে।
এঅবস্থায় গোবিন্দ এখন খুরিয়ে এবং ট্রেচার দিয়েও হাটছে। দ্রুত এর চিকিৎসা করতে না পারলে তার পঙ্গু হয়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে পরেছে। চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা গোবিন্দর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পরেছে। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করলে ভাল হওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এতে ৮-১০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। তাই ক্ষুদ্র আয়ের গোবিন্দ সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার চিকিৎসার জন্য সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছেন।
গোবিন্দ তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।
গোবিন্দকে সাহায্য পাঠাবার বিকাশ নাম্বার ০১৯৯১৪১৪২৪১ (এওজন্ট ) এবং ০১৮২৯৬৮৪৫৭৪ (ব্যক্তিগত )