নাটোরের চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮ | ৪৩৭

নাটোরের চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা। খাল-বিল ও নদীতে এ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বালুভরা, চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, পাকুরিয়া, ডাহিয়া ও ইটালী সহ মোট ২৪ টি স্থানে এমন ভাসমান বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। এমনকি পৌরসভার পাটকোল বিলেও এধরনের বীজতলা করা হয়েছে।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে আটজন কৃষক সম্মিলিতভাবে বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষক সিরাজুল ইসলাম স্বপন জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর ওপরে কচুরিপানা দিয়ে গ্যাপ পূরন করার পর সমান করে মাটি দিয়ে তার ওপরে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। এসব বীজতলায় ১৫ থেকে ২০ দিনেই চারা পরিপূর্নতা লাভ করে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম চলনবিল সিংড়া এলাকায় এই বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।

মূলতঃ হাওর এলাকায় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়। গত বছর আগাম বন্যায় চলনবিল সহ সিংড়া এলাকায় ব্যপক ক্ষতি হয়। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যা পরবর্তী ৩৪ ধানের রোপা আমন আবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। বিশেষ করে এই চারা রোপনে ফলনও ভালো হয়, দামও বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া উপজেলার ২৪ টি স্থানে সরকারী সহায়তায় এ ধরনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধরনের চারা আপদকালিন চারা হিসেবে কৃষকদের কাজে লাগবে। প্রতিটি স্থানে এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। এমন বীজতলায় ২০ দিনে পরিপূর্ণ চারা তৈরি হয় এবং রোপনের উপযুক্ত হয়। এতে করে কৃষকদের মাঝে সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।