গরু মোটাতাজাকরণ খামার জনপ্রিয় হচ্ছে নওগাঁয়

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮ | ৮৫৯

কোরবানি ঈদ কে টার্গেট করে গরু মোটাতাজাকরণ খামার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁয়। ভালো দাম পাওয়ার আশা নিয়ে দেশীয় মাঝারী গরু কিনে বড় করছেন খামারিরা। কিন্তু গোখাদ্যর চড়াদাম আর ভারত থেকে গরু প্রবেশ শেষ অবধি লাভ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় এসব খামারিরা। জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস বলছে দেশীয় গরুর বাজার সৃষ্টিতে খামারিরা সব রকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

নওগাঁ শহরের মশর পুর এলাকার বাসিন্দা নিপেন মজুমদার গত ১ বছর আগে ৫০ টি ছোট ও মাঝারি ষাঁড় গরু নিয়ে  গড়ে তোলেন খামার। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কেনা এসব গরু এখন ৯০ থেকে  ১ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন। গরু গুলোকে নীবির পরিচর্যার মাধ্যমে মোটা তাজা করতে নিয়োগ করেছেন ৫ জন লোক।

দেশীয় প্রজাতির লাল ও কালোজাতের এসব গরুকে দ্রুত বড় ও অধিক মাংস পেতে সুষম খাবার দিচ্ছেন দিন রাত। গেল বছর শেষ সময়ে ভারত থেকে গরু  প্রবেশ করায় দেশীয় গরুর দাম কমে যায় এতে লোকসানের শিকার হন নিপেন মজুমদারসহ স্থানীয় খামারিরা। এবার তাই দেশীয় গরুর বাজার পেতে প্রশাসনের নজরদারি কামনা করছেন এসব খামারিরা।

একজন খামারি বলেন, আমার খামারে ৮০  হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গবাদি পশু আছে কোরবানি উপযোগী। এর মধ্যে দেশি ও ভারতীয় গরু রয়েছে। এবার বাইরে থেকে গরু না আসলে আমরা ভালো লাভের আশা করছি।

দেশীয় গরুর খামার কে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে গো খাদ্যর দাম কমানো সহ সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবি খামারিরা।

তারা বলেন, সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় আমাদের তেমন লাভ হচ্ছে না। ব্যাংক থেকে আমাদের সহযোগিতা করা হলে আমরা খামার ঠিকভাবে করতে পারব।
 
দেশীয় গরু খামার গড়ে তুলতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সহ আধুনিক কলাকৌশল দেওয়ার কথা জানিয়েছেন নওগাঁ সদরের প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে কীভাবে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে চাষিদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।

তথ্যমতে, নওগাঁ জেলায় ৫ হাজার ৫১০টি গরু মোটা তাজা করার খামার রয়েছে, যেখানে ১০ হাজার ১৪৬টি গরু কোরবানি ঈদ কে ঘিরে প্রতিপালন করা হচ্ছে।