শুল্ক বাড়ানোর ফলে ভোমরা স্থলবন্দরে কমেছে চাল আমদানি

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮ | ৪২৫

বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চাল আমদানি। এতে জেলায় সবধরনের চালের দাম কেজিতে ৩-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও দাম বৃদ্ধির জন্য আড়তদার ও মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের তাগিদ ক্রেতাদের।

কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে চাল আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ৩ শতাংশ সারচার্জ নির্ধারণ করেছে সরকার।

এতে, চাল আমদানিতে আগের চেয়ে কেজিপ্রতি খরচ বেড়েছে প্রায় ৮ টাকা ৫০ পয়সা। খরচ বাড়ায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে চাল আমদানি।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, 'প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ গাড়ির মতো আমদানি হতো। শুল্ক বসানোর কারণে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ গাড়ি আমদানি হচ্ছে।'

এদিকে, আমদানি কমায়, বেড়েছে ভারতীয় চালের দাম। জেলার বড়বাজারে ভারতীয় মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৮ টাকা। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশীয় চালের দরও বাড়িয়েছেন আড়তদাররা। আটাশ চালের কেজি দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা আর স্বর্ণা ৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির জন্য আড়তদার ও মিল মালিকদের দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা। ভরা মৌসুমেও দেশি চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।

এদিকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের আশ্বাস দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন।

তিনি বলেন, 'যদি অহেতুক দাম বাড়ানো হয় তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। আমাদের বাজার মনিটরিং টিম আছে। তাদের মাধ্যমে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।'

ভোমরা স্থলবন্দরের তথ্যমতে, চলতি মাসের তেসরা জুন থেকে ৬ জুন-এই চারদিনে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়। আর বাজেট ঘোষণার পর গত ১০ জুন থেকে ২০ জুন-এই ১০ দিনে আমদানি হয়েছে মাত্র ৯শ মেট্রিক টন চাল।