আজ ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ৫ বছর

টাঙ্গাইলে আদালত প্রাঙ্গনে মানবাধিকার কর্মীদের মানববন্ধন

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | ৪১৯

আজ ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ৫ বছর। “জীবীকার জন্য জীবন হারানো আর নয়” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বস্নাস্ট) টাঙ্গাইল ইউনিটের উদ্যোগে রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৫ বছর পূর্তিতে মানববন্ধন’সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।

টাঙ্গাইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত প্রাঙ্গনে ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বস্নাস্ট) টাঙ্গাইল ইউনিট পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বস্নাস্ট) টাঙ্গাইল ইউনিটের সমন্বয়কারী এডভোকেট খ.আমিনা রহমান, এডমিন অফিসার মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), বস্নাস্টের প্যানেল আইনজীবী, অন্যান্য স্টাফ’সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা কর্মক্ষেত্রে দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরন, আহত শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও স্থায়ী পূনর্বাসন দাবীতে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সকালে সাভারে আট তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়ে ১১শ'র বেশি পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্ব-ইতিহাসেরই অন্যতম ভয়াবহ শিল্প-দুর্ঘটনা ছিল। কিন্তু একে কেন্দ্র করে করা মামলাগুলোর একটি ছাড়া অন্যগুলোর কোনটিই আজও নিষ্পত্তি হয়নি। এ ঘটনার পর মামলা হয়েছে মোট ১৪টি।

এর মধ্যে রয়েছে অবহেলা-জনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশের মামলা, রাজউকের করা ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন এবং নিহত একজন পোশাক শ্রমিকের স্ত্রীর দায়ের করা খুনের মামলা। মূলত: ঘটনার পরেই সাভার থানা পুলিশ একটি মামলা করে। পরে একজন শ্রমিকের স্ত্রীও খুনের মামলা করলে দুটি মামলা একটিতে রূপ নেয় তদন্তের পর। অন্য আরেকটি মামলা হয়েছিল ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত। বাকী এগারটি মামলা করেছিলো কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এসব মামলার দিকে নজর রাখছিলেন বাংলাদেশ লিগাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বস্নাস্ট)। সংস্থাটির আইন শাখার উপ-পরিচালক মোঃ বরকত আলী বলেন, এসব মামলার কোনটিরই চুড়ান্ত ফল আসেনি। তবে দুদকের মামলায় সাজা হয়েছে যদিও সেটি ছিল ভিন্ন মামলা।" "মূলত সব মামলার প্রায় আসামিরা একই। অর্থাৎ একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে। এখন শ্রম আদালতে এগারটি মামলা বিচারাধীন আছে। বিচারিক আদালতে ফৌজদারি মামলা ও ক্ষতিপূরণের মামলাও বিচারাধীন" রয়েছে।