নৌকায় ভোট চাওয়া আমার রাজনৈতিক অধিকার: শেখ হাসিনা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮ | ৪৭৫

আওয়ামী লীগের জনসভায় নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়াী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তো নৌকায় ভোট চাইতেই পারি, কারণ আমি দলের সভাপতি, আমি যেখানে যাব, সেখানেই ভোট চাইব। নৌকায় ভোট চাওয়া আমার রাজনৈতিক অধিকার।

এসময় দলীয় নেতাকর্মীদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় যাওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে শুরুতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

শুক্রবার দিনাজপুরসহ সারাদেশে ঝড় ও শীলাবৃষ্টির তাণ্ডবে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় এমপিদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জেনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করাই বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।

আমাদের অর্জন অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত দেশ হবে। চিকিৎসা পাবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এটা আমাদের লক্ষ্য। আমরা এটা করতে পেরেছি বলেই উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন অনেকের চোখেই পড়ে না। চোখ অন্ধ হলে দেখবে কি করে। দেশে একটিও কুড়েঘর নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার ঠাকুরগাঁও থেকে আসতে দেড় ঘণ্টা উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে দেখেছি কোথাও কুড়ে ঘর নেই। মানুষ এখন শান্তিতে আছে। সক্ষমতা অর্জন করেছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের জন্য আমরা ভাসানচরে বাঁধ ও সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করছি। ধীরে ধীরে তাদের সেখানে পুনর্বাসন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দেশ পিছিয়ে যায়। ওই সময় যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, ক্ষমতায় বসিয়েছিল, স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতের পতাকা তুলে দিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতা এরশাদ, খালেদা জিয়া রক্ষা করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়াব। এটাই আমাদের নীতি, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা লক্ষ্যপুরণে একধাপ এগিয়ে গেছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি তাদের আখের গুছিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ঠিক রেখে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের কারণেই দেশের উন্নতি হচ্ছে।

বৈঠকে মোহাম্মদ নাসিম, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, সাহারা খাতুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।