মির্জাপুরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের অভিযোগ

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৫৪৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লেগুনার সিরিয়াল দেওয়াে নিয়ে দুই শ্রমিকের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় ইজি বাইক শ্রমিক অফিসে এই ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন দেওহাটা-বহুরিয়া রোডের মাথায় চালক হাসেম তার লেগুনার সিরিয়াল আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে লাইনম্যান শাহ আলমের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

পরে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে হাসেম তার চার সহযোগী রশিদ দেওহাটা গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের ছেলে জাকের (৩৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে কবির (৩৬), কদিম দেওহাটা গ্রামের ইসমাইলের দেওয়ানের ছেলে হাসমত আলী (৩৭) ও রশিদ দেওহাটা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহানের ছেলে গোড়াই ইউনিয়ন পশ্চিম ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক শাহারুল ইসলাম পারভেজ (৩৬) কে নিয়ে স্থানীয় অটো রিক্্রা, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা চালায়।

সেখানে শাহ আলম ও এনায়েত নামে দুই শ্রমিককে মারপিট করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা ওই অফিসের আসবাবপত্র ও একটি ইজি বাইক ভাংচুর এবং অফিসে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে।

দেওহাটা অটো রিক্্রা, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামীরা সন্ত্রাসী কায়দায় শ্রমিক অফিসে ঢুকে দুই শ্রমিককে মারধর করেছে। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র এবং অফিসে টাঙানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে ফেলে দেয়।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, শ্রমিক অফিসে মারামারির এক পর্যায়ে চেয়ার ছুড়ে মারার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টাঙানো ছবি পড়ে যায় বলে তার ধারণা। তবে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কামাল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।


শামসুল ইসলাম সহিদ/এইচএইচ