চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুনের তীব্রতা বেড়েছে, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৮০

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (সিইপিজেড) এলাকার 'অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানি লিমিটেডের কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌবাহিনীর ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য যোগ দিয়েছে। কারখানা দুটিতে হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও তোয়ালে তৈরি করা হতো। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর তীব্রতাও অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানাটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। কারখানাটিতে হাসপাতালে ব্যবহার করার সরঞ্জাম তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে।

সিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, আগুন লেগেছে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানি লিমিটেডের গুদামে। এর মধ্যে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল তোয়ালে ও ক্যাপ উৎপাদন করে আর জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউন তৈরির কারখানা। সাততলা ভবনের সর্বোচ্চ তলায় অবস্থিত দুটি কারখানার গুদাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুরো ভবনে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করলেও এ দুর্ঘটনায় এখনো কেউ হতাহতের খবর মিলেনি। ৬ ও ৭ তলা গুদাম হিসেবে ব্যবহার হয়।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, 'কারখানার ৭ম তলায় আগুন লেগেছে। যেখানে আগুনের সূত্রপাত সে জায়গাটি মূলত গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শ্রমিকরা সাধারণত ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কাজ করেন। ভেতরে এখন কোন শ্রমিক নেই। সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।'

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, সাততলা ভবনের ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম তলায় আগুন লেগেছে। এ পর্যন্ত ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সুত্র:বণিক বার্তা