ত্রাণের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আইডিএফের গুলিতে লাশ ৬৭ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৫ পিএম, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ | ৩১৬

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী লরি আসার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, ইসরায়েল থেকে প্রবেশের পর তাদের ২৫টি ট্রাকের একটি কনভয় বিপুল সংখ্যক ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ে পড়ে এবং সেসময় গুলি চালায় আইডিএফ। খবর বিবিসি।

আইডিএফের দাবি, তারা ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ দূর করতে ‘সতর্কতামূলক গুলি’ ছুড়েছে। সেসঙ্গে, নিহতের সংখ্যার বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা।

শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ক্ষুধাজনিত রোগ বেড়ে চলেছে এবং তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগত বহু মানুষ চরম দুর্বলতায় ভুগছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ‘ক্ষুধাজনিত’ কারণে ১৮ জন মারা গেছেন বলেও তারা জানায়। গাজা সিটির শিফা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিচালক ড. হাসান আল-শায়ের জানান, হাসপাতালটি প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে। এক নারী বলেন, পুরো জনগণ মারা যাচ্ছে। শিশুদের খাওয়ার কিছু নেই। লবণ পানি খেয়ে বাঁচছে মানুষ।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, রোববার সারাদেশে ইসরায়েলি হামলায় ৯৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু উত্তর গাজাতেই ৮০ জন মারা যান, আর দক্ষিণের রাফা ও খান ইউনিসের ত্রাণ পয়েন্টে মারা যান আরো ১৩ জন। গাজা সিটির বাসিন্দা কাসেম আবু খাতের বলেন, ‘আমি ময়দা নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে লাশের ভিড়। ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হচ্ছিল আর স্নাইপাররা যেন বনের পশু শিকার করছে এমনভাবে গুলি করছিল।‘

ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং প্রায় ৯০,০০০ নারী ও শিশুর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রতি তিনজনের একজন দিনের পর দিন না খেয়ে আছে।