চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন


টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আতিকুর রহমান মিল্টনের (৪৮) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বেলা ১২ টায় মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিল্টনের বড় ভাই মো. আজহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুন, ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টনের স্ত্রী সিফাত আরা সুকলা, পঞ্চম শ্রেণির পড়–য়া শিশু কন্যা অহনা, ছোট বোন লিপি ইমরান, বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম আরজু মিয়াসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৭ জুলাই রাতে গাজীপুরের ভোগড়া নামক স্থানে ডাক্তার এ. এন, এম মনিরুল হুদা রুপমের গাড়ি থেকে তার মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেন। ২১ জুলাই রুপমের বাবা আ: সামাদ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় রুপমের গাড়ি চালক শিপন, ডাক্তার আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে নোমান, ডাক্তার আরিফ ও সুজনকে আসামী করে মামলা করেন।
মামলাটি গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৪ মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলার বাদী ওই তদন্তের ওপর নারাজি দেন। পরে আদালত গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে পুণ:তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই এর উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং পলাতক দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ওপরও বাদীপক্ষ আদালতে নারাজি দেন। আদালতের বিচারক পরে গাজীপুরের সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডির পরিদর্শক মো. আলাউর রহমান তদন্ত সাপেক্ষে গত বছরের ১৫ জুলাই আতিকুর রহমান মিল্টনকে সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। মিল্টন গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর গাজীপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে মিল্টনের বড় ভাই বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আমার ভাই মিল্টন মির্জাপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে মিল্টন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একটি মহল আতিকুর রহমান মিল্টনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ডাক্তার রুপম হত্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে আসামী করেছেন বলে উল্লেখ করেন। মিল্টন পরিষদের দৈনন্দিন কাজ, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা ও আইনশৃঙ্খলা সভায় নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে তাকে পলাতক আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান। তারা মিল্টনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন