দেশে একদিনে ৩৮৮ রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ১০

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৩৭৬
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ১০ জনের মৃত্যু এবং ৩৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।  এ নিয়ে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৩ জন, আর এ ভাইরাসের সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৩৯ জন।

দেশের কভিড পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৭১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।  এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৯০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৯৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ২৪১টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে হার কমতে থাকে। নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। 

তবে নতুন বছরের প্রথম দিন ৯৯০ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ জানুয়ারি তা নেমে আসে ৬৮৪ জনে। এর পরের চার দিন তা ৮০০ থেকে ৯০০ এর ঘরে ওঠানামা করতে দেখা যায়। এই ৬ দিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাও ৩০ এর নিচে ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয় গত ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। 

এছাড়া প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।