পদ্মা সেতুতে বসল সবশেষ স্প্যান

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩৭৬

পদ্মাসেতুর ৪১তম স্প্যান (স্টিলের কাঠামো) সফলভাবে স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করে সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে স্প্যানটি বসানো হয়। সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির (পিলার) ওপর স্প্যানটি বসানোর পর অন্যান্য কারিগরি কাজ সম্পন্ন করতে কাজ করছেন প্রকৌশলীরা।

কারিগরি কাজ শেষ হতে আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

স্মারক হিসেবে শেষ স্প্যানের একপাশে বাংলাদেশ অন্যপাশে চীনের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

স্প্যানটি বসানোর জন্য গতকাল বুধবারই সেতুর কাছাকাছি এনে রাখা হয়। আজ সকলে চীনা ভাসমান ক্রেন দিয়ে তা খুঁটির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর। আর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর প্রথম স্প্যান ওঠে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এর পর একে একে উঠেছে ৪০টি স্প্যান, বাকি ছিল মাত্র একটি। আজ সেটি বসানোয় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের এই সেতু পুরোটাই দৃশ্যমান হল।

দ্বিতল পদ্মা সেতুর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ৪২টি পিয়ার। এসব পিয়ারে বসছে ১৫০ মিটার লম্বা ৪১টি স্প্যান। স্প্যানের অংশগুলো তৈরি করা হয় চীনে। সেগুলো জোড়া লাগানো হয় সেতুর মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। এসব স্প্যানের ভেতরে বসবে রেলপথ। আর উপরে বসানো হচ্ছে কংক্রিটের স্ল্যাব। নিচে চলবে ট্রেন, উপরের চার লেনের রাস্তায় চলবে মোটরযান।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ থেকে ২০১৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুমোদন হয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্প। প্রাক্কলিত নির্মাণব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে প্রথমবার প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। নকশা পরিবর্তন করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, রেললাইন সংযোজনসহ আনুষঙ্গিক কাজ বাড়িয়ে নির্মাণব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। মেয়াদ অপরিবর্তিত রাখা হয়।

বাস্তবায়ন কাজ বিলম্ব হওয়ায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ব্যয় বাড়ানো হয় দ্বিতীয় দফায়। ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দ্বিতীয় ডিপিপি সংশোধন করা হয় প্রকল্পটির। তবে নকশা জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় ২০১৮ সালের জুনে তৃতীয়বার সংশোধন করা হয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের ডিপিপি। নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। পরের বছর আবারো সংশোধনের মাধ্যমে এটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।