যে কারণে সন্তানের সামনে ঝগড়া করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০ | ৪১৬

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের কাছ থেকেই তারা শেখে। শিশুর আচরণ দেখেই কিন্তু বোঝা যায়, পরিবারের বড়দের আচরণ কেমন। মা-বাবার ভেতরে সুন্দর সম্পর্ক দেখলে শিশুও কিন্তু তাই শেখে। একইরকমভাবে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি দেখলে তার প্রভাবও পড়ে শিশুর ওপর।

স্বামী-স্ত্রীর ভেতর ঝগড়া-ঝাটি হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এর ফল সব সময় ভালো না-ও হতে পারে। নিজেদের মধ্যের বোঝাপড়া তাই সন্তানের আড়ালেই করা উচিত। কারণ একে অন্যের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করলে সন্তানও তেমনটা দেখে বড় হবে। সেও তখন অন্যদের সঙ্গে রূঢ় আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আবার মা-বাবার ভেতর অশান্তি হলে তার প্রভাব সন্তানের জীবনে পড়বেই। অনেক শিশুর শৈশব নষ্ট হয় মা-বাবার ভেতরকার অশান্তির কারণে। তাই শিশুর সামনে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।

বাবা-মায়ের প্রতিদিনের কলহ, চেঁচামেচি, সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শিশুদের মনে নানারকম প্রভাব ফেলে। তারা অকারণ জেদ করতে থাকে। অনেকসময় অল্পতেই রেগে যায়। চিত্কার করে কথা বলে, কখনো খুব সহজে ভয় পেয়ে যায়। শিশুর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে নিজেদের সম্পর্কের প্রতি আরও যত্নশীল হোন।

মা-বাবার ভেতরকার সম্পর্ক সুন্দর না হলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে বাড়ে উত্কণ্ঠা। স্কুলের পরিবেশেও মানিয়ে নিতে অনেক সময় তাদের অসুবিধা হয়।

শিশুরা তার ব্যবহারের প্রথম পাঠ পায় বাবা-মায়ের কাছ থেকেই। পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা, অন্যের মতকে গুরুত্ব না দেওয়া, এসব দেখে দেখে যখন সে বড় হয়ে ওঠে তখন ভবিষ্যতে তার ব্যক্তিগত জীবনের আচরণেও সেটার ছাপ থাকে। আর এই তিক্ততা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে।

ঝগড়া হলে যতোই রাগ হোক না কেন, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যজনের কাছ থেকে সংযত হওয়ার আশা না করে, আগে নিজে শান্ত হন। একজন শান্ত থাকলে, দেখবেন ঝগড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

কাজের চাপ, পরস্পরকে সময় না দেয়া বা বোঝাপড়ার অভাব ইত্যাদি কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কথাবার্তা কম হয়। আর এ কারণে দুজনের ভেতর অশান্তিও বাড়তে থাকে। তাই নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখতে পরস্পরকে সময় দিন।