ভূঞাপুরে হাট বাজারগুলোতে কমছেনা মানুষের উপস্থিতি
 
												 
																			টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাট-বাজারগুলোতে কমছেনা মানুষের উপস্থিতি । করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে না তারা।
রোববার (২৯ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যদিও উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিয়ত গ্রাম পর্যায়ের হাট-বাজারগুলোতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণাসহ অকারণে বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। চালানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা। তারপরও গ্রাম পর্যায়ের এসব মানুষজন হাট-বাজারগুলোতে সমাবেত হচ্ছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভাইরাস সংক্রমনরোধে সরকার সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এতে মানুষজন শহর থেকে গ্রামে চলে আসে। কিন্তু গ্রামে এসে কোয়ারেন্টাইন না মেনে অকারনেই হাট-বাজারগুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন। মানছেন না সামাজিক দুরত্ব এবং সরকারি নিয়ম কানুন।
রবিবার সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে গিয়ে মানুষের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক দুরত্ব না মেনেই হাট-বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা। এছাড়া বামনহাটা, গাবসারা হাট, অজুর্নার গোবিন্দপুর, নিকরাইল ও পৌরসভার শিয়ালকোল হাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া দৈনন্দিন বাজারগুলোতে মানুষ ভীড় করছে। তবে প্রশাসন ওইসব হাট-বাজারগুলো অভিযান চালালেও পরে পুনরায় আবার মানুষ চলে আসে বাজারে।
হাট-বাজারে আসা মানুষরা জানান, লকডাউন করা ছাড়া মানুষের সমাগম বন্ধ করা সম্ভব নয়। হাট-বাজার বন্ধ থাকলে মানুষ আর হাটে আসবে না। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য কেনার জন্য অামাদেরকে বাজারে অাসতে হয়। কপালে যা অাছে তাই হবে।
এএবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন বলেন, হাট বাজার বন্ধে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। অামরা উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশক ও সেনাবাহিনী নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা মনিটরিং করছি। তবে বাজার কমিটি এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের অসহযোগিতার কারণে শত ভাগ সফলতা আসেনি।
 
                         
 
             
            