ক্যাসিনোর মূলহোতা
সেলিমের বাসায় থেকে দেশি-বিদেশি মদ ও নগদ টাকা উদ্ধার


অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের অফিসে অভিযান শুরু করে র্যাব।
মঙ্গলবার র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার আগমুহূর্তে সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মূলহোতা বলে জানায় র্যাব।
জানা গেছে, সেলিম প্রধানকে সঙ্গে নিয়েই সোমবার রাত ১০টার দিকে গুলশান ২ এর একটি বাড়িতে অভিযান শুরু করে। গুলশান ২–এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১ /এ নম্বর মমতাজ ভিশন বাড়িতে রাত ১০টার দিকে প্রথমে র্যাবের তিনটি গাড়ি আসে। কয়েকজন র্যাব সদস্য বাড়িটির নিচে অবস্থান নেন। এরপর বাড়িতে বাইরে থেকে কোনো মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাড়িটি ছয় তলা। এর চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। এ দুটি ফ্লোরে তার বাসা ও অফিস রয়েছে। সোয়া ১১টার দিকে অভিযানস্থলে র্যাবের সদস্যের উপস্থিতি আরও বাড়ানো হয়।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার জানান, আটক সেলিম অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি ক্যাসিনোর অর্জিত আয় বিদেশে পাচার করে আসছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই সেলিম প্রধানই অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান। তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি। এছাড়া এর আগে গ্রেফতার হওয়া বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ারও।
সেলিম প্রধানের ব্যাংককের পাতায়ায় বিলাসবহুল হোটেল, ডিসকো বারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জানা যায়, থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট ফ্লাইটে হাজির হলে সেটি বেলা ৩টায় ঢাকা ছেড়ে যায়। সেখান থেকেই সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের কারণে ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা তার ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছিলেন। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পারেননি।