রসুলপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ
১৮ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানবতার জীবন-যাপন শিক্ষক কর্মচারীর


ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ১৮ বছরেও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় যুগ ধরে জেএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত অংশ নিয়ে ভালো ফলাফলও করে আসছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা সকল প্রকার সরকারি সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন ।
জানা যায়,চরফ্যাসন উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূরে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে রসুলপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভের পর দীর্ঘ ১৮ বছর পর্যন্ত শিক্ষা নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে আসলেও এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে স্থাপিত হয়ে ২০০৪ সালে নিম্ন মাধ্যমিক হিসেবে একাডেমি স্বীকৃতি পায় এবং বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পাঠদানের স্বীকৃতির জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শতাধিকের অধিক। ২জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৯জন। ১ একর জমির উপর নির্মিত বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও আসবাবপত্রের সংখ্যা পর্যাপ্ত।
রসুলপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মো.বাবুল হোসেন ছাদেক জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমরা সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছায়েদুল হক জানান, এলাকার দরিদ্র মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষ্যে ২০০১ সালে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত্ এমপিও ভুক্তি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলেই পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ।
চরফ্যাসন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়াউল হক মিলন বলেন, দুর্গম এলাকা হিসেবে বিদ্যালয়টির গুরুত্ব অপরিসীম। এই এলাকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।