‘রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মিন্নি’

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ | ৫৩০

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দুই-একটি গণমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করছে অভিযোগ করে এসপি মারুফ হোসেন বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

এর আগে এই হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও নিহত রিফাত ফরাজীর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত মঙ্গলবার রাতে ১৩ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি কোনো মাদকের কারণে ঘটেনি। ঘটেছে ব্যক্তিগত জিঘাংসার কারণে। মাদক বা অন্য কোনো ইস্যুর কথা উঠলে মামলাটির ফোকাস ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে। এ মামলায় বাদী যাদের হত্যাকারী দাবি করেছেন, আমরা তাদের প্রায় সবাইকেই ধরেছি এবং কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। এ পর্যন্ত আমরা এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’

এ মামলায় নয়ন বন্ডদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাদের কী হবে?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি মারুফ হোসেন বলেন, ‘যাদেরই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।’ পুলিশ কোনো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ কোনো চাপের মধ্যে নেই।’

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার এই হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গতকাল বুধবার আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।