খাগড়াছড়িতে সেচ পাম্প ও পাওয়ার টিলার বিতরন পাহাড়ী-বাঙালি বৈসম্য

শাহীন আলম, খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯ | ৪৫৮

পাহাড়ে হচ্ছে উপজাতিদের উন্নয়ন, বঞ্চিত হচ্ছে হতাভাগা বাঙ্গালীগণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা যুগ যুগ ধরে সর্বক্ষেত্রে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। স্ম্প্রতি, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃক জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনের খতিয়ান থেকে বিষয়টি আবারো প্রতীয়মান হয়েছে।

সর্বশেষ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির আওতায় খাগড়াছডড়ির বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের মাঝে সেচ পাম্প ও পাওয়ার টিলার বিতরণের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান খাগয়ড়াছড়ি জেলা পরিষদ। সরঞ্জামাদি বিতরণ করার ক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের কে নামমাত্র অংশীদার করা হয়েছে -- দাবী বাঙ্গালী কৃষকদের।

এ বিষপড স্থানীড বাঙালিরা বলছেন যে, কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনের ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের দায়ার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও কোন ভাবে এড়াতে পারে না। তাছাড়া একজন স্থানীয় প্রতিনিধি অবশ্যই সকল ধর্ম-বর্ণেরঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবেন কিন্তু খাগড়াাছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজুরি চৌধুরী বেশ কয়েকটি উপজেলায় নিজহাতে সরঞ্জাম বিতরণ করলেও তিনি পাহাডড়ি-বাঙালি বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে কোনো আওয়াজ করেননি।

আসুন দেখে নেয়া যাক খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি সরঞ্জাম বিতরনের পানছড়ি পাহাড়ী, ২৬, বাঙ্গালী – ০৫ খাগড়াছড়ি সদর, পাহাড়ী ৩০, বাঙ্গালী – ০৪, মাটিরাঙ্গা পাহাড়ী ১২, বাঙ্গালী ২৫, মহালছড়ি পাহাড়ী, – ২২, বাঙ্গালী ০২, মানিকছড়ি পাহাড়ী ২২, বাঙ্গালী ০২, দীঘিনালা পাহাড়ী ১৬, বাঙ্গালী ০৪, গুইমারা পাহাড়ী ২৫, বাঙ্গালী ০১ অর্থাৎ, সব মিলিয়ে উপজাতি ১৫৩ জনপাহাড়িকে কৃষি সরঞ্জাম দিলেও বিপরীতেমাত্র ৪৩ জন বাঙালিকে তা দেয়া হয়েছে। অথচ, জনসংখ্যার হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা অর্ধেকজনগোষ্ঠী এবং তারাবেশ অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।

অপরদিকে সোলার বিতরনীতেও অনিয়ম। পাহাড়িদেরকে সর্বচ্চো উগ্রাদিকার ভিত্তিতে বিতরন করে এবং বাঙালিদের বেলায় বৈসাম্য ।